নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি, খাল ভরাট, অপরিকল্পিতভাবে শিল্পকারখানা-মার্কেট গড়ে তোলার কারণে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন ও তারাব পৌরসভার বেশ কিছু এলাকায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দশ গ্রামের কৃষকদের প্রায় ৬০০ বিঘা জমি অনাবাদি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তলিয়ে গেছে বহু বাড়িঘর। জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষবাদ না হওয়ায় সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে আজ সোমবার সকালে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও কৃষকরা রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে বুকে ধানের চারা নিয়ে অভিনব মানববন্ধন পালন করেছে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন তারা।
বিক্ষুব্ধ কৃষকরা জানান, নারায়ণগঞ্জ-নরসিংদী অগ্রণী সেচ প্রকল্পের আওতাধীন মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মাহামুদাবাদ, নাসিংগল, সরকারপাড়া, দরিকান্দি, গঙ্গানগর, হাউলিপাড়া, তারাব পৌরসভার গন্ধবপুর, বোচারবাগ ও নামাপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার ফলে কৃষকদের প্রায় ৬০০ বিঘা জমি অনাবাদি অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তলিয়ে গেছে বহু পরিবারের বাড়িঘর। প্রকল্পের ভেতরের গু-খালি খাল ভরাট করে মার্কেট, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি ও অপরিকল্পিতভাবে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠার ফলে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে কৃষকরা দাবী করেন।
কৃত্রিম জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে আজ সোমবার সকালে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা ও স্থানীয় এলাকাবাসী রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরের সামনে বুকে ধানের চারা নিয়ে অভিনব মানবন্ধন পালন করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাহী অফিসার ফারহানা ইসলামের বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মুরাদুল ইসলাম বলেন, জুলাই মাসে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি ও মুড়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহম্মেদ আলমাস বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীকে নিয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা ইসলাম বলেন, স্মারকলিপি পাওয়ার পর বিষয়টি জেনেছি। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।