নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক এবং তার ছোট ভাই জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান কুমুর পরিবার। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহরের তামাকপট্রি এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তন মো. মুকিত।
সংবাদ সম্মেলনে মুকিত বলেন, রূপগঞ্জ পিতলগঞ্জ মৌজায় আমাদের ১৩ শতাংশ জমি রয়েছে। যা আমাদের নামে খারিজ করা। সেই জায়গাটি কায়েপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক জবর দখল করে বালু ভরাট করে ফেলেছে। রফিক চেয়ারম্যান ও তার ভাই মিজানুর রহমান মিজান এতটাই ভয়ংকর হয়ে উঠেছে যে, পুলিশ প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। এ ব্যপারে রূপগঞ্জ থানা পুলিশকে জানালেও পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম পিপিএম বারের শরনাপন্ন হলে তিনি রূপগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিলেও এখনো পর্যন্ত তারা নির্বিকার।
তিনি আরো বলেন, আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ২০১৬ সালে মারা যান। অথচ আজ একজন মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল করে রেখেছে ভুমিদস্যু আন্ডা রফিক ও তার ভাই মিজান। আপনাদের লিখুনীর মাধ্যমে জেনেছি রফিক শুধু ভূমিদস্যুতায় নয় নারী কেলেংকারীর সাথেও জড়িত এমন অভিযোগ রয়েছে।
নিরুপায় হয়ে আপনাদের শরনাপন্ন হয়েছি যেন আমাদের জমিটি ভূমিদস্যু রফিক ও মিজানের কাছ থেকে উদ্ধার পেতে চাই। বর্তমানে রফিক ও মিজান বাহিনীর হুমকি ধমকীর কারনে চরম নিরাপক্তা হীনতায় রয়েছি। জমিটি অন্যত্র বিক্রি করতে চাইলেও রফিক বাহিনীর ভয়ে এখন কেউ কিনতে চায়না।
বর্তমান পুলিশ সুপার হারুন সাহেব সব জায়গায় বলে থাকেন ভূমিদস্যু, চাদাঁবাজ, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের কোন ছাড় দিবেন না । এটাই যদি হয়ে থাকে আমি এর বাস্তবায়ন চাই। এক সপ্তাহের মধ্যে আন্ডা রফিক ও তার ভাই মিজানের বিরুদ্ধে আমার জমি দখল মুক্ত না করলে নারায়ণগঞ্জ শহীদ মিনারে আমৃত্যু অনশন কর্মসূচি পালন করবো। আমি আমার জমি দখল মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মনোয়ারা সুলতানা, পুত্রবধূ ফাতেমা রহমান ও নাতনী রওশন আরা রহমান ইশা।