নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : মহানগর বিএনপির সিনিয়র সভাপতি ও বারের সাবেক সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কুক্ষিগত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। বর্তমান সরকার প্রতিটি জায়গাকে দলীয়করণ করে বিরোধী দলকে দমন পীড়ন করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। নির্বাচনের প্রথম থেকেই আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশনের দাবি তুলে আসছি। কিন্তু বর্তমান কমিটি এমন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে, তাদের অতীত খুব খারাপ। তাদেরকে অনেকেই অথর্ব এবং সরকারি দলের আজ্ঞাবহ মনে করেন। নির্বাচন কমিশনে কীভাবে সরকারি নিয়োগ প্রাপ্ত পিপি দায়িত্ব পায় ! যে কমিশনে পিপি জিপি দায়িত্ব পায়, নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। বার নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান এবং আসন্ন আইনজীবী সমিতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২১ জানয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আদালত প্রাঙ্গনে প্রচারণা শেষে তিনি এসব কথা বলেন ।
তিনি আরো বলেন, বারের নির্বাচনকে কুক্ষিগত করার জন্য হুমকি ধমকি, আইনজীবীদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। একটি প্যানেলকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে হুমায়ুন জাকির পরিষদ থাকবে না। আমরা কারো হুমকি ধামকিকে ভয় পাই না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা বিজয়ী হবো। বিরোধী শিবির সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না। তারা মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীরে হয়রানী করছে। এই নির্বাচনকে আমরা আন্দোলন হিসেবে, আইনজীবীদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য হিসেবে নিয়েছি।
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে এড. সাখাওয়াত বলেন, অনেক দাবি দেয়া হয়েছে, কিন্তু কোন দাবি মানা হয় নাই। নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত দেখবো আমাদের দাবি মানা হয় নাকি সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে পুতুল নির্বাচন দেয়া হয়।
প্রশাসনকে উদ্দেশ্যে করে তিনি আরো বলেন, আইনজীবীদের নির্বাচনে বহিরাগতদের দিয়ে যেভাবে মহড়া দিয়ে আইনজীবীদের হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে, প্রার্থীদের বসিয়ে দেয়ার জন্য প্রার্থীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে, এটা মেনে নেয়া যায় না। সাহস থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়া হউক।এড. জাকির হোসেন বলেন, এ সরকার যা করছেন, গায়ের জোড়ে করছেন। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা তারা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য করছে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হবে আইনজীবীদের মতো, সেখানে আইনজীবীরা ভোট দিয়ে তাদের প্রার্থী নির্বাচিত করবে। আজকে একটি প্যানেল বাইরের লোকজন নিয়ে মিছিল করে। ছাত্রলীগকে এনে আইন অঙ্গনের পবিত্রতা নষ্ট করছে। এই কর্মকান্ডকে ধিক্কার জানাই। ভোট সুষ্ঠু হলে এবং ভোটাররা ভোট দিতে পারলে হুমায়ুন-জাকির পরিষদের নিরঙ্কুশ বিজয় হবে বলেও মনে করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যানের আন্দোলন চলবে। এই কমিশন গতবারের নির্বাচনে ভোট কারচুপি করেছে। আবারো সেই চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্ত ধুলিস্বাৎ করা হবে। ধ্বজভঙ্গ কমিশন দিয়ে নির্বাচন হবে না। অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে পিপি-জিপির প্রভাব মুক্ত করে নতুন কমিশন গঠন ও এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম, এড. কামরুন নাহার এবং এড. আসাদুজ্জামানকে কো-অপ্ট করে ব্যালেন্স নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ২৯ তারিখে যদি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়, তাহলে বর্তমান কমিশনকেই এর দায় দায়িত্ব বহন করতে হবে। কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় না পেয়ে সাধারণ আইনজীবীদের ভোট দেয়ার আহবান জানান তিনি।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, এড. খোরশেদ আলম মোল্লা, এড. আব্দুল হামিদ ভাষানী, এড. বারী ভূঞয়া, এড. বোরহান উদ্দিন সরকার, এড. আনোয়ার হোসেন সহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী প্যানেলের প্রার্থী ও বিএনপি পন্থী আইনজীবীবৃন্দ।