মেঘনা নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ প্রতিনিধি ) : সোনারগাঁ ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে অভ্যন্তরিন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সোমবার (২০ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শিল্পকারখানার  দখলে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে তারা।

এসময় নদীর তীর ভরাট করে বালু পাথর ও ড্রেজারের পাইপ নিলামে সাড়ে ৫ লাখ টাকা বিক্রি করা হয়। বিআইডব্লিউটি এর নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন-বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর মাহাবুব উল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক গুলজার হোসেন, উর্ধ্বতন পরিচালক শহিদুল্লাহ প্রমুখ।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক গুলজার হোসেন জানান,  মেঘনা নদীর তীরবর্তী  মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার চর বেতাকি খাঁন ব্রার্দাসের ৬শ ফিট লম্বা সীমানা প্রাচীর, এবং দুটি মাটি কাটা ড্রেজার ভাংচুর করা হয়।  সোনারগাঁয়ের মেঘনা, হোসেনদি, বলাকিরচর এলাকায় নদী ভরাট করে বালু রাখা অংশ ভেকু দিয়ে খনন করে নদী দখল মুক্ত করা হয়। এছাড়া মেঘনা লঞ্চঘাট এলাকায় ৩০০ফুট লম্বা এবং ২০০ ফি প্রশস্ত মেঘনা নদী বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধ ভাবে বালু, পাথর, টিনের  ব্যবসা করে আসছিল একটি চক্র। বিআআইডব্লিউটিএ এসব মালামাল জব্দ করে নিলামে তুলে  ৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা বিক্রি করে।

গুলজার হোসেন আরো বলেন, ছয় দিনে এ উচ্ছেদ কার্যক্রমে আরও যারা নদীর তীর দখল করে রেখেছে পর্যায়ক্রমে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। তিনি বলেন, শুক্রবার নদী কমিশনের চেয়ারম্যান আমাদের নিয়ে সরেজমিন মেঘনা নদী পরিদর্শন করেছেন। এসময় আল মোস্তফা গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপসহ বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে নদী দখলের প্রমান পেয়েছেন। পর্যায়ক্রমে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত