নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে মামুনুল হক ইস্যুত হামলা, ভাংচুর ও মহাসড়কে নাশকতা সৃষ্টির মামলায় প্রধান আসামী খেলাফত মসলিশের সভাপতি ও হেফাজত নেতা মাওলানা ইকবাল হোসেন সহ গ্রেফতার ৪ হেফাজত নেতার ৩দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। ১২ই এপ্রিল সোমবার বিকালে পুলিশ দুই মামলায় তাদের ৭ দিন করে রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে হাজির করে। আদালত শুনানী শেষে প্রত্যেককে এক মামলায় দুই দিন ও আরেক মামলায় এক দিন মোট ৩দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিমান্ডের আসামীরা হলেন : খেলাফত মজলিশ সোনারগাঁ উপজেলার শাখার সভাপতি ইকবাল হোসেন (৫২), হেফাজত ইসলাম সোনারগাঁও উপজেলা শাখার আমির হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন (৫৩), সেক্রেটারি মাওলানা মো. শাহজাহান খাঁন শিবলী (৪৩) ও সহ–সভাপতি হাফেজ মোয়াজ্জেম হোসেন (৫২)।
এর আগে র্যাব–১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, ৩ই এপ্রিল হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক একজন নারীসহ সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে সন্দেহজনকভাবে স্থানীয় জনতা কর্তৃক অবরুদ্ধ হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ হেফাজতকর্মীরা রয়েল রিসোর্ট ভাংচুরসহ এলাকায় তান্ডব সৃষ্টি করে। রয়েল রিসোর্ট ছাড়াও হেফাজতকর্মীরা ঘটনার দিনে সোনারগাঁও এলাকার একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাপক সহিংসতা, গাড়ি ভাংচুর, নাশকতা সৃষ্টি ও অগ্নি সংযোগ করে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায়, জনমনে ভয়ভীতি সঞ্চার এবং সরকারী কাজে বাধা সৃষ্টি করে। ওই সময় সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম ও খেলাফতে মজলিশ সোনারগাঁ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ইকবাল হোসেন মাগরিবের নামাজের পর মসজিদের মাইকে উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রচার করে লোক জমায়েত করে এবং উক্ত হামলার নেতৃত্ব দেয়। উক্ত ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিগণ ও পুলিশ কর্তৃক বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে পৃথক ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা উক্ত মামলাগুলোর অন্যতম এজাহারনামীয় আসামি।