নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, হাজী নরুদ্দিন, মনিরুল ইসলাম সজল, এমএইচ মামুন, সরকার হুমায়ূন কবীর, অহিদুল ইসলাম ছক্কুসহ ৩৯ জনকে আসামী করে নাশকতার মামলা দায়ের হয়েছে সদর মডেল থানায়। শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে শীতলক্ষ্যা ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ১৪ জনকে। এছাড়া মামলায় ১০ জনকে পলাতক এবং ১৫ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলো, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. মিজানুর রহমান, মিলন, শাকিল, এনামুল, আবুল হাসান সজিব, আজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ, মো. আব্দুল কায়ূম হোসেন, তানজির আহম্মেদ মোক্তার ওরফে মোক্তাজুল, রফিকুল ইসলাম, শান্ত হোসেন, সাহাবুদ্দিন, আবু সাঈদ। তাদেরকে শুক্রবার দুপুরের দিকে আমলা পাড়া গার্লস স্কুলের কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলায় পুলিশ দাবি করছেন, আমলা পাড়া গার্লস স্কুলের সামনে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল গোপনে মিলত হয়। সেখানে তারা সরকার উৎখাতসহ নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো। পুলিশ খবর পেয়ে অভিযান চালায়। এসময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও ১৩জনকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশবিশেষ ও ৫টি বিভিন্ন সাইজের ইটের টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ দাবি করেন, ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এটিএম কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, হাজী নরুদ্দিন, মনিরুল ইসলাম সজল, এমএইচ মামুন, সরকার হুমায়ূন কবীর, অহিদুল ইসলাম ছক্কু, আওলাদ, রনি, গোলাম কাদের।
মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম। তিনি জানান, পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
অপরদিকে একইদিনে কাউন্সিলর খোরশেদ, সম নূরুল ইসলাম, রশু, রোজেলকে পলাতক দেখিয়ে আরও ১২৪ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। ফতুল্লা মডেল উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাফীউল আলম ও মো. কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ দুটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় চারজনকে পলাতক ও ৬৫ জনকে গ্রেফতার এবং ৫৫ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ১৮টি ককটেল ও ৩৫টি জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে।
আসামীদের বরাত দিয়ে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে মোল্লা সল্টের মালিক মো. খবির উদ্দিন মোল্লা এবং সুপার স্টার বাব্লের মালিক মো. ইব্রাহিমসহ ৬ জনের পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থায়নে নারায়ণগঞ্জে জামায়াত-শিবির সংগঠিত হচ্ছে এবং নাশকতামূলক কর্মকান্ড এবং গার্মেন্ট শিল্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করে আসছিলো। এ লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃতরা মাসদাইর ঈদগাহর দক্ষিণ পার্শ্বে নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা এবং নয়ামাটির পাগলা হাই স্কুলে জিনিয়াস বৃত্তির অন্তরালে নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে জড়ো হয়েছিলো।
মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) শাহ্ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের। তিনি জানান, পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।