নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : বন্দরের মদনপুরে ইউপি সদস্য খলিল মেম্বারের উপর সন্ত্রাসী আমির গ্রুপের হামলার ঘটনায় বন্দর থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের হয়েছে।
এ ব্যাপারে ধামগড় ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক নাদিম মাছুম ও আহত মেম্বারের স্ত্রী রোকেয়া রহমান বাদী হয়ে ১৯ নভেম্বর সোমবার দুপুরে বন্দর থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৪৪(১১)১৮ ও অপর মামলা নং- ৪৫(১১)১৮।
ধামগড় ফাড়ী পুলিশের এসআই নাহিদ মাসুমের মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ নভে¦র রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বন্দর উপজেলার ফুলহর এলাকার মৃত শরাফত আলী মেম্বার ছেলে সন্ত্রাসী আমির হোসেন গ্রæপের সাথে মদনপুর চাঁনপুর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার খলিল মেম্বারের অফিসে প্রবেশ করে ইউপি মেম্বার খলিলকে কুপিয়ে জখম করে।
এ সময় প্রতক্ষদর্শীদের সংবাদে স্থানীয় কতিপয় জনতা মাইকে খলিল মেম্বারের গুরুতর জখমের সংবাদ আহবান করে। গুরুতর আহত খলিল মেম্বারের মৃত্যু শয্যায় আছে এ সংবাদ শুনে খলিল মেম্বারের হাজার হাজার কর্মী সমর্থক দুপুর ১২টায় ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিলে প্রতিপক্ষ আমির গ্রুপও বিপরিত দিক দিয়ে হামলা করলে গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দেয় ও পুরো মদনপুরে রনক্ষেত্রে তৈরী হয়।
ঘটনার ১ঘন্টা পর সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছলে উত্তেজিত খলিল মেম্বারের কর্মী সর্মথকরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের অবগত করলে পুলিশ লাইন এপিসি,জলকামান ও অতিরিক্ত পুলিশ র্ফোস দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে আহত মেম্বারের কর্মী সমর্থক ও আমির বাহিনী আরো উত্তেজিত হয়ে পরে।
এক পর্যায়ে মদনপুর আরকে হসপিটাল, বিসমিল্লাহ ড্রাগ হাউজ,কোহিনূর ক্যামিক্যাল কোম্পানির গোডাউন,রুবেলের কসমেটিক দোকান,মদনপুর শোপিং কমপ্লেক্সের ১৫/২০টি দোকান, ৪র্থ তলা বাসাবাড়ী, কমপ্লেক্সের সামনে ৩০/৪০টি দোকান ভাংচুর, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে।
এ ছাড়াও মদনপুর এলাকায় প্রিমিয়াম ব্যাংকের গ্লাস ও সিসি ক্যামেরা, মদনপুর পুলিশ বক্স ব্যাপক ভাঙ্গচুর করে। সে সময় হামলাকারীরা পুলিশের উপর বৃষ্টির মত ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। হামলাকারিদের অতর্কিত ইটপাটকেলের আঘাতে বন্দর থানার এএসআই শামীম ও কন্সেটেবল আক্কাস উদ্দিন, এসটিভির সাংবাদিক নাসির গুরুত্বর আহত হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়ার জন্য ধামগড় ফাঁড়ী কন্সেটেবল আব্দুল কাদির ৩টি টিয়ার সেল,কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের কন্সষ্টেবল চাঁন মিয়া ৩ রাউন্ড র্শটগানের গুলি, বন্দর থানার কন্সেটেবল ইমরান ৩ রাউন্ড র্শটগানের গুলি,এসএএফ কন্সেটেবল সুমন র্শটগাান থেকে ৫ রাউন্ড গুলি ও কন্সষ্টেবল ইউসুফ মেয়াজী র্শটগান থেকে ৬ রাউন্ড গুলি বর্ষন করা হয়।
অপরাপর মামলার বাদী খলিল মেম্বারের স্ত্রী রোকেয়া রহমানের এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মদনপুর চাঁনপুর এলাকার ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার খলিলের সাথে একই এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে শামীম ও ফুলহর এলাকার মৃত শরাফত আলী মেম্বারের ছেলে আমির হোসেনের সাথে সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে র্দীঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
এর ধারাহাহিকতায় গত ১৮ নভেম্বর বেলা পৌনে ১২টায় খলিল মেম্বার তার অফিসে অবস্থান কালে প্রতিপক্ষ শামীম ও আমির হোসেন, চাঁনপুর এলাকার নবী হোসেনের ছেলে সোহেল, মৃত কাশেম আলী ছেলে হানিফ ও তার ছেলে আমির হামজা, মৃত জয়নাল মিয়ার ২ ছেলে আক্তার ও শিবলী নোমান, ফুলহর এলাকার মৃত মোহাব্বত আলী ছেলে শফিউল্লাহ, মৃত মোজা মিয়া ছেলে বাবুল, মৃত জয়নাল মিয়ার ছেলে মোশারফ, সাগর মিয়ার ছেলে খোকন, মৃতত নুর মিয়া ছেলে বিল্লাল ও লাঙ্গবন্ধ এলাকার বদু মিয়াসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন অফিস ভাঙ্গচুর করে খলিল মেম্বারকে এলাপাথারীভাবে কুপিয়ে জখম করে।
এ সময় হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে চাঁনপুর এলাকার কালাম হোসেন মিয়ার ছেলে সম্রাট (১৮) একই এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে শাহাবুল (২২) আহত হয়। অফিস ভাঙ্গচুরের সময় ২০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন হয়। পুলিশের উপর হামলা ও খলিল মেম্বারকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় থানায় পৃথক ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।