নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রুপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : রূপগঞ্জের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশেই বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিনের। সড়কের দুই পাশের রাস্তা থেকে শুরু করে ফুটপাত গুলোও দীর্ঘদিন থেকে পুলিশ ও প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় দখল করে রেখেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও ভাসমান হকাররা। যাদের নৈপথে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি করছে স্থানীয় পুলিশ ও প্রভাবশালী নেতা । এতে করে নগরীতে সাধারণ মানুষের চলাচলে সীমাহীন র্দূভোগ পোহাতে হচ্ছে। পথচারীদের চলাচলের জন্য নগরীর ফুটপাতের রাস্তা গুলো সংস্কার র্নিমিত হলেন নতুন করে তা র্নিমান হতে না হতেই তাতে পূনরায় দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে ভাসমান হকার এবং প্রভাবশালী একাধিক মহল। বর্তমানে রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা ও গোলাকান্দাইলের মহাসড়কের ফুটপাতগুলো তো বোঝার উপায় নেই যে এটা কি গাড়ী চলার জন্য নাকি মানুষ চলার জন্য র্নিমিত নাকি দোকান বসানোর জন্য তৈরী করা হয়েছে। এই নগরীতে এমন ফুটপাত নেই যা কোনো হকার বা কোনো দোকানের দখলে নেই। ফুটপাত দখলে রাখার জন্য রীতিমতো র্সগঠন আছ্ েপুলিশসহ অনেকে আছেন। তারা হকারদের কাছে ফুটপাত বরাদ্দ দিয়ে মাসে প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে যার নিয়ন্ত্রন করে স্থানীয় পুলিশ ও প্রভাবশালী নেতারা। অভিযোগ রয়েছে ফঢুটপাত দখলে রাখতে পুরিশ ও স্থানীয় র্কতাব্যক্তিদের দিতে হয় মোটা অংকের টাকা। উপজেলার গোলাকান্দাইল ও ভূলতা সহ বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে ঘুরে মিলেছে এসব তথ্য।
উপজেলার অধিকাংশ এলাকায়ই একশ্রেণীর প্রভাবশালীচক্র নিয়ন্ত্রন করছে এলাকার ফুটপাত। নিয়ম হচ্ছে তাদের এলাকায় কোন হকার বা দোকানদার দোকান দিতে চাইলে তাদের সাথে আগে কন্ট্রাক্ট ৭ হাজার টাকা দিতে হবে আর পতিদিন দিতে হবে তিনশত টাকা। তারপর ওই স্থানে দোকান বসাতে পারবে। দোকানদারের বক্তব ভাই টাকা কম হলে হয় না। নেতার বক্তব ৭ হাজার নাদিতেপারলে দশ হাজার টাকা দিতে হবে। আর এর জন্য সরাসরি অথবা কোন মাধ্যেম হয়ে ওই প্রভাবশালীর নিকট যান হকার অথবা দোকানদাররা। এরপরই তার সাথে শুরু হয় ওই ফুটপাত নিয়ে দর কশাকশি যদি ওই নেতার মনমতো হয় তাহলেই অনুমতি দেয়া হয় ওই স্থানে দোকান বসানোর। এছাড়াও কোন ফুটপাতে নতুন কোন দোকানদার অনুমতি ব্যাত্তি কোন দোকানদার দোকান বসালে সাথে সাথে প্রভাবশালীদের লোকজন এসে তারা দোকানে হামলা করে এবং দোকানটি বন্ধ করেদেয় তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই নিয়মে চললেও গোলাকান্দাইল ও ভূলতা এলাকার ফুটপাত গুলো নিয়ন্ত্রন করে থাকে হর্কাস ব্যবসায়ীদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারাই মূলত ফুটপাদের সকল দোকানদারদের থেকে টাকা তুলে থাকে। একাদিক সূত্রে জানাগেছে, প্রভাবশালীরা ছাড়াও উপজেলার গোলাকান্দাইল ও ভূলতা এলাকার ফুটপাত দখলকারীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাশোহারা হিসেবে টাকা তুলে থাকে ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ি ও ট্রাফিক পুলিশ ফুটপাত দখলমুক্ত হোক এটি সবার কামনা। রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ও ভূলতা এলাকার ফুটপাত দখলমুক্ত করা নিয়ে অতীতে অভিযান চালানো হলেও কদিন পর আবার একই অবস্থায় ফিরে আসে। ভয়াবহ যানজট মহাসড়কের নিত্যসঙ্গী। ফুটপাত দখল করে রাখা এর অন্যতম একটি কারন। হকার ও দোকানের দখলে থাকায় পথচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটতে পারেন না। ফলে রাস্তার পাশে র্নিমাণের উদ্দেশ্যই ব্যাহত হচ্ছে। এর নেতিবাচক পভাব পড়ছে নগরজীবনের নানা ক্ষেত্রে। এতে করে প্রতিটি সড়কেই যানজট লেগেই থাকে। এমতাবস্থায় ফুটপাত দখলমুক্ত করণে সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার বলে মনে করেন এলাকার পরিকল্পনাবিদরা। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আন্তরিক হলে ফুটপাত দখলমুক্ত করা সম্ভব বলেও অভিমত দেন সচেতন নাগরিকরা।