ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে কাউন্সিলর বাবুর সম্মানহানির র্ব্যথ চেষ্টা !

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশেনের ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবুর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এবার ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে সম্মান হানির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে একটি কুচক্রি মহল। শুধু তাই নয় এ কাজে ব্যবহার হয়েছে নারায়ণগঞ্জের শতেকখানি নামে বেনামে অনলাইনের অন্যতম একটি অদৃশ্য অনলাইন পোর্টাল ও সাংবাদিক পরিচয় দাতা। যে নাকি ইতমধ্যেই এহেন কর্মকান্ডে ভুল স্বিকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন ভুক্তভোগীর কাছে এমনটাই জানালেন কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু।

বুধবার (৬ মে) সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে এমন দাবী করে গণমধ্যমকে জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লগডাউন ঘোষণা করার পর বিপাকে পড়ে যান নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তারা। তাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরকারি ভাবে ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিজ নিজ এলাকায় সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন। ঘরে ঘরে পৌঁছে দেন খাদ্য সামগ্রী। আমিও এর ব্যাতিক্রম নই, তবে আমি মানুষের সহযোগীতায় কে কোন এলাকার ভোটার কিংবা কোন ওয়ার্ডের বিবেচনা করিনি।

তিনি বলেন, ওই অপপ্রচারে অনেকেই কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য করছেন, যা আসলে দু:খজনক। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, না জেনে কারো ব্যাপরে মন্তব্য করবেন না। দয়া করে সত্যিটা জানুন। যদি করেনই তাহলে প্রকাশ্যে, নিজ ও পিতার নাম, ঠিকানাও সঠিক রাইখেন। পেছন থেকে আড়ালে কলকাঠি নেড়ে শয়তানের বন্ধু হয়ে বেশীদিন দুনিয়ায় টিকে থাকা যায়না। আমি সরকারি বরাদ্ধ ছাড়াও ১৭ নং ওয়ার্ডে নিজ উদ্যোগে ১২ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। এতে ঈর্ষান্বীত একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। আর তাই একটি হাস্যকর ঘটনার জন্ম দিয়েছে ওই কুচক্রি মহল।

তারা উল্লেখ করেছেন, আমার ওয়ার্ডের ভোটার না হওয়ায় ২শ জন পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়নি দাবী করে মঙ্গলবার একটি অনলাইনে ভিডিওসহ সংবাদ প্রকাশ করে। অথচ ঐ ভিডিওটি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। ভিডিও ধারণ করা ঐ যুবকটির ভিডিও ক্যামেরার দোকান রয়েছে। তাকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ভিডিওটি করিয়ে তা সংবাদ আকারে প্রকাশ করে আমার ইমেজ ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ভাল কাজ করে যদি এমন ভাবে হয়রানী করা হয় তাহলে মানুষের তো ভাল কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে যাবে। তবে আমার বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন আমি সর্বদাই আমার ওয়ার্ডবাসীর কল্যাণে কাজ করে যাবো।

এদিকে, ভিডিও ধারণকারী ঐ যুবক তার ফেসবুক আইডীতে একটি ভিডিও বার্তা পোষ্ট করেন। ভিডিওতে তিনি বলেন, তাকে ফোন দিয়ে যেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবং পরিকল্পনাকারীদের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি ভিডিও করেছেন। এতে কাউন্সিলর বাবু কোন অন্যায় নেই। কুচক্রী মহলের প্ররোচণায় এ কাজ করেছিলেন।

এঘটনায় কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন- প্রিয় নারায়ণগঞ্জবাসী, গতকাল নারায়ণগঞ্জের কিছু অতি উৎসাহিত অনলাইন আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করে তারা যে হলুদ সাংবাদিক প্রমান করেছে.. আপনারা নিশ্চই অবগত আছেন, আমি ১০ বছর ধরে আমার ১৭নং ওয়ার্ড এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছি, করোনার এই মহা বিপদে ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ দেখি নাই সাধ্য মতো করার চেষ্টা করেছি ১৭নং ওয়ার্ড এ অধিক করেছি কারন এই এলাকার মানুষ আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছে। এলাকার কিছু ধান্দাবাদ সুদখোর দালাল রা একটি চক্র হয়ে আমার বিরুদ্ধে ভাড়া করা লোক দিয়ে টাকা ব্যবহার করে সম্মান হানির চেষ্টা করছে। আফসোস এই অর্থ টা তোমরা গরিবের পিছনে ব্যবহার করতা, বিগত ১০ বছরে আমি নিজের কষ্টের উপার্জিত কোটি কোটি টাকা আমার এলাকা বাসীর কল্যানে ব্যবহার করেছি।

তোরা দালাল রা পারবি করতে, পারবি না তোদের কলিজা নাই তোরা পারবি গরিবের রক্ত চুষে খেতে ,আমি বাবু থাকতে পারবিনা জীবনেও আমার গরিবের উপর অত্যাচার করতে, তোদের মতো মানুষ রুপী দালালদের কথায় আমি পিছে সরে যাবো কিভাবে ভাবলি আর এই ছোট খাটো অনলাইন এ প্রচার করেই দমিয়ে ফেলবি। যারা কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে সাংবাদিকতা করছে তাদের বদনাম করে দেয় এই সকল অনলাইন এর সাংবাদিকেরা। মানুষের উপকার না করতে পারলে ক্ষতি কইরেন না। একটা কথা মনে রাখবেন যারা আমার সম্মান হানীতে লিপ্ত তাদের জন্য আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। আল্লাহ আমার মৃত্যুর আগেই তাদের বিচার করবেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত