বাংলাদেশ ইয়ার্ণ মার্চেন্ট সভাপতিসহ ৩জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সদর সংবাদদাতা ) : বাংলাদেশ ইয়ার্ণ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি লিটন সাহার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শহরের টানবাজার এলাকার লুৎফর রহমানের মালিকানাধীন গোডাউনের ম্যানেজার ও তার মালিককে গালিগালাজ ও হুমকির অভিযোগ এনে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে লিটন সাহা সহ তিনজের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগটি দায়ের করেছেন আবুল কাশেম।

আবুল কাশেম ওই গোডাউনের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে।

এর আগে ২৪ নভেম্বর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে গোডাউনের ভাড়া ২ লাখ টাকা চাওয়ায় ওই গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়া হয়েছিলো বলে ওই অভিযোগে জানানো হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আবুল কাশেমের কাছ থেকে ৫৫/৪ রেলি ব্র্রাদার্স টানবাজারের গোডাউন প্রতি ৪০ হাজার টাকা করে ব্যবসায়ী নেপাল চন্দ্র সাহা। কিন্তু নেপাল গত ৪ মাস যাবৎ (জুুলাই-নভেম্বর) ভাড়া না দিয়ে তার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এদিকে তার কাছে ভাড়া চাইতে গেলে গোডাউন ম্যানেজার আবুল কাশেমকে হুমকি ধমকি প্রদান করা হয়।

তিনি জানান, ২৪ নভেম্বর দুপুর সোয়া ১২টায় ভাড়ার টাকা দেওয়ার কথা বলে ম্যানেজার আবুল কাশেমকে গোডাউনে ডেকে নিয়ে যায় আরেক ব্যবসায়ী গৌতম চন্দ্র সাহা। গোডাউনে যাওয়ার পর গৌতম মোবাইলে বাংলাদেশ ইয়ার্ণ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি লিটন সাহার সাথে কথা বলিয়ে দেন ম্যানেজারকে। এসময় ম্যানেজার ও তার মালিককে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে লিটন সাহা।

এদিকে এ ঘটনায় ৩ জনকে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ম্যানেজার আবুল কাশেম। ম্যানেজার আবুল কাশেম অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সদর থানা পুলিশের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এদিকে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নারায়নগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ঘণ্টা দুয়েক আগে অভিযোগ হয়েছে। এখনো ঠিকমত তদন্ত শুরু হয়নি। তবে আমি অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই অভিযুক্তদের থানায় আসতে বলেছি। তারা কালকে আসবে বলেছেন। তারা আসলেই জানতে পারবো, ঘটনাটা কি?

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইয়ার্ণ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা বলেন, আমি কোনো গালিগালাজ বা হুমকি দিই নাই। এটা মিথ্যা কথা। আমি নিজেও ফোন করিনি। গৌতম বাবু তার ফোন দিয়ে আমাকে ধরিয়ে দিলে আমি ম্যানেজারের সাথে কথা বলি। এবং তাকে বুঝিয়ে বলি মার্কেটের মধ্যে একটা গোডাউনে তালা দেয়াতো ঠিক না। বিষয়টা বসে সমাধান করেন। এর বাইরে তাকে আর কিছু বলিনি।

add-content

আরও খবর

পঠিত