নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ): অতীতের গডফাদারদের দোসর বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও মহানগর বিএনপি নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফের নাম ভাঙ্গিয়ে নসিব পরিবহন দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে সকল ধরনের বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া আটকাতে বরিশাইল্লা জাহাঙ্গির নানা নাটক মঞ্চস্থ করছেন বলে অভিযোগ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নসিব পরিবারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ অন্যান্য মালিকেরা।
শনিবার ২৬ অক্টোবর দুপুরে নিজ বাড়ির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নসিব পরিহনের পরিচালক মোজাম্মেল হোসেন, মোহাম্মদ আসলাম ও সেলিম রেজা।
নসিব পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল আমিন মির্জা বলেছেন, বন্ধু পরিবহন কাউন্টারে কোন ঘটনা ঘটেনি। আর ওই রাতে আমরা কেউ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যায়নি। ওরা মিথ্যা ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আবারো নসিব পরিবহনকে সরিয়ে দেয়ার নাটক সাজিয়েছে। প্রয়োজনে আমার বাসায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখুন, আমি বাসায় ছিলাম, বাসা থেকে বের হয়নি। আমাদের কোন পরিচালক বা লোক ওখানে ছিলাম না। ওরা ঘটিয়ে আমরা যেন নসিব পরিবহন কাউন্টার দাবি না করতে পারি, সেটা পরিকল্পনা করেছে। বাস স্ট্যান্ডে আমাদের কেউ দেখছে বলে বা কোন ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারে তাহলে প্রশাসন যে বিচার করবে আমরা মেনে নিব। আমরা নসিব পরিবহন যেন ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়। গত ১৭টি বছর ধরে ন্যায় বিচারের চারদিক ঘুরপাক খাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলেন তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে নসিব পরিবহন নামক কোম্পানী নারায়ণগঞ্জ থেকে চিটগাং রোড পর্যন্ত যাত্রী সেবা দেয়। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা এলে শামীম ওসমান ও তার শ্যালক এহসানুল হক নিপু আমাদের সুরমা হোটেলের নসিব পরিবহনের অফিসে হামলা চালায়। এ সময় তারা ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন, এতে আমরা অনিহা প্রকাশ করি। পরবর্তিতে তারা নসিব পরিবহনের অফিস ও কাউন্টারগুলো দখলে নিয়ে নেয়। ২০১৩ সালে র্যাবে সহযোগিতা কামনা করি। ওই সময়ে বন্ধু পরিবহনের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। কারণ আমরা শামীম ওসমান ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে মামলা করি। এতে আমরা নসিব পরিবহন পূনরুদ্ধার করলেও ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে পর আমরা নারায়ণগঞ্জে থাকতে পারি নাই। ওই সময় সেভেন মার্ডারে হত্যাকারী নূর হোসেনকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করেন।
আল আমিন মির্জা আরও বলেন, বিআরটিএ, সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের কোন অনুমতি ছাড়ায় নসিব পরিবহনের বদলে বন্ধু পরিবহন চালু করে শামীম ওসমান ও নিপুরা। বর্তমানে দেশের পট পরিবর্তনে ন্যায় বিচারের আশায় আমরা নসিব পরিবহন ফিরে এসেছি। এখন প্রশাসন সকল স্থানে সহযোগিতা চেয়ে আসছি। পুলিশ সুপারের কাছে গিয়েছি তিনি বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন অনুমতি দেয় আপনার আবেদন করেন। যেন আপনাদের নসিব বৈধ আর বন্ধু পরিবহন অবৈধ চিঠি নিয়ে আসেন। এর প্রেক্ষিতে সিটি কর্পোরেশনের রিপোর্টে ২২ অক্টোবর আমারে নসিব পরিবহন কাউন্টার বৈধতা দিয়ে চিঠি দিয়েছেন। এরপর সদর থানা ওসি নিকট দারস্থ হলে বন্ধু পরিবহনের কমিটির অবগত করে সরে যেতে জানান। তিনি এও বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন থেকে তোমাদের বন্ধু পরিবহন অবৈধ কাউন্টার বসিয়েছে রিপোর্ট দিয়েছে। এতেও তারা কালক্ষেপন করে গত ২৫ অক্টোবর রাতে একটা নাটক সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বন্ধু পরিবহনের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন শামীম ওসমানের দোসর ও নসিব পরিবহনের একজন ড্রাইভার। তিনি বর্তমানে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও মাজহারুল ইসলাম জোসেফের নাম ভেঙ্গে বিক্রি করে পুরো বাস টার্মিনাল চাদাঁবাজি করছে। কোন প্রাইভেট কোম্পানী লিমিটেডে আহবায়ক হতে পারে না। প্রতিদিন ১০/১৫/২০ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে, বন্ধু পরিবহনের আমার গাড়ী চলে। ১৭দিন যাবৎ আমার ওই গাড়ী হিসাব দেয় না। জাহাঙ্গীর ও ম্যানেজার হিসাব নিয়ে তালবাহানা করছে। বন্ধু পরিবহনের কোন বৈধ কাগজপত্র নেই, রুট পারমিট নেই। আমাদের কোম্পানির বাস আমাদের অফিস, আমাদের কাউন্টার দখল কর তারা বন্ধু পরিবহন নাম দিয়ে চালাচ্ছে। আমরা জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুবিচার দাবী করছি।