বন্দরে দাশেরগাঁও-লাঙ্গলবন্ধ রাস্তার বেহাল দশা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নস্থ দাশেরগাও-লাঙ্গলবন্ধ  সড়কটি খানাখন্দে বেহাল অবস্থায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে । ইটভাটার গাড়ী চলাচলের কারনে রাস্তাটি বর্তমানে জনগনের জন্য অভিশাপে পরিনত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটিতে কাদা, পানি মিলে একাকার হয়ে যায়। চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা। যেখানে জনগন হেটে চলাচল করতে পারে না, সেখানে সম্প্রতি চায়না ব্যাটারি কোম্পানি দিনে-দুপুরে ভেকু দিয়ে রাস্তাটি কাটলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তাবাবুরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

এ ব্যাপারে ফনকুল  গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী শিবপদ মন্ডল জানান, মুছাপুর ইউনিয়নের এ রাস্তাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার এই রাস্তায় প্রতিনিয়ত কয়েকশ ইট বহনকারী ট্রাক, মাটির ও বালুর ট্রাক চলাচল করে। এছাড়া ইজিবাইক, নসিমন, টমটমসহ ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চলাচল করে থাকে। অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠা ইটভাটার কারনে  প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার এলাকার মানুষের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে পড়েছে।

ওই রাস্তায় ইজিবাইক চালক রিপন লাল জানান, রাস্তাটির পিচ উঠে বড় বড় খানা-খন্দে রূপ নিয়েছে। ইঞ্জিনচালিত বাহনগুলি প্রায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়। দাশেরগাও-লাঙ্গলবন্ধ রাস্তা সংস্কার করা না হলে গাড়ি চালানো বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা, অটোবাইকের ব্যাটারী রাস্তার কারনে বিকল হয়ে যায়। পথচারীরা কোন উপায়ান্তর না পেয়ে এই পথে চলাচল করে। অচিরেই এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ইটভাটার গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দিতে পারে।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারীর সাথে তার মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, দাশেরগাও-লাঙ্গলবন্ধ সড়কটি চলাচলের যোগ্য না। সরকার রাস্তা সংস্কার করবে আর অবৈধ প্রতিষ্টানের কবলে পড়ে নষ্ট হবে তা কিভাবে? রাস্তাটির অবস্থা এত নাজুক যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। এ রাস্তার পাশেই প্রায় ১২টি ইটভাটা আছে। ইটভাটার কারনে রাস্তাটির অবস্থা এত নাজুক। প্রায় প্রতিটি ইটভাটাই অবৈধ।

তিনি আরো বলেন, স্থানীয় লোকজন ইটভাটার মালিকদের ধরেন এবং বসে এটার একটা ব্যবস্থা করেন। রাস্তাটি আগে এলজিআরডি’র অধিনস্থ ছিল। বর্তমানে লাঙ্গলবন্ধ মেলা উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে অন্তর্ভূক্ত। তাই আমাদের আলাদাভাবে কিছু করার সুযোগ নেই। আকিজ, সিমেক্স, বসুন্ধরা কোম্পানিগুলো নিজস্ব খরচে অনেক রাস্তা করে দিয়েছে। ইটভাটার মালিকরা সম্মিলিত ভাবে রাস্তার সংস্কার কাজটি করতে পারে।

মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাকসুদ হোসেন বলেন, রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। চলাচলের যোগ্য না। আমাদের নারায়নগঞ্জ-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান মহোদয়কে অবহিত করেছি। ইতিপূর্বে এই রাস্তাটি এলজিআরডি এর আওতায় ছিল। বর্তমানে লাঙ্গলবন্ধ মেলা উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে এ রাস্তাটির সংযোজন করা হয়েছে। এ রাস্তাটি আরো প্রশস্ত হবে তবে সময়ের ব্যাপার মাত্র।

add-content

আরও খবর

পঠিত