নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ শুক্রবার। কারাগারে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। যেখানে একটি প্রহসনমূলক মামলার মাধ্যমে তাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছিল। অবশেষে দীর্ঘ সাড়ে ৯ মাস পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা। তার অকুতোভয় নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিল বাঙালি জাতি। পরাজিত পাকিস্তানি শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তার মুক্তির মধ্য দিয়েই পরিপূর্ণ বিজয় অর্জন করে বাঙালি।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বছরব্যাপী মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। ইতোমধ্যে সরকার ‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেছে। ২০২১ সালে দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের ধারাবাহিকতায় ‘মুজিব বর্ষ’ পালন করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসেই রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে তার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কাউন্টডাউন (ক্ষণগণনা) শুরু হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে ওই স্থানেই বিমান থেকে অবতরণ করেন।
বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী বিমান অবতরণের ঐতিহাসিক মুহূর্তটি দেখতে পাবেন দর্শকরা। ক্ষণগণনা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন এবং সারাদেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হবে। সকাল ৭টায় ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। এ উপলক্ষ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য বিশ্বজুড়ে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে নিজের আত্মবিশ্বাসের কথাও বাণীতে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।
বাণীতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মহান নেতার অসম্পূর্ণ কাজগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সবাইকে দেশের অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
অন্য এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ইউনেস্কো যৌথভাবে আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন করবে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
বাণীতে সবাইকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।