নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : টানা নবমবারের মতো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের। শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের কাউন্সিল অধিবেশনে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন খসরু সভাপতি পদে আবারো শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। তাতে সমর্থন দেন সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য। অন্য কোনো নামের প্রস্তাব না থাকায় ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শেখ হাসিনাকে টানা নবমবারের মতো সভাপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান তাতে সমর্থন দেন। এই পদের জন্যও অন্য কোনো নামের প্রস্তাব আসেনি। ফলে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সাধারণ সম্পাদক পদে কাদেরকেই নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
১৯৮১ সাল থেকে দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বারবার অবসরে যাওয়ার কথা বললেও দলের নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়তে নারাজ।
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রথমবার দায়িত্ব পান ২০১৬ সালের অক্টোবরে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকরা টানা দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনের একটি রেওয়াজ রয়েছে। এবার সেই রেওয়াজ ভাঙতে পারে বলে একটি গুঞ্জন ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত রেওয়াজ ভাঙেনি স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া দলটি।
পুনরায় দায়িত্ব পাওয়ার পর শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, যেদিন মা-বাবা সবাই মারা গেলেন সেদিন আমি আপনাদেরকে পেয়েছি। আমি ৩৯ বছর ধরে এই পদে আছি। আমি ছুটি চাইছিলাম। সব সময়তো থাকবো না আপনাদের বিকল্প ভাবতে হবে। কিন্তু আপনারা আমাকে আবার নির্বাচিত করেছেন। আমাদের সংগঠনকে আরও গতিশীল করতে হবে।
অন্য পদে নির্বাচিত যারা
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া দলে বেশির ভাগ আজ ঘোষণা করা হয়। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদের দুজন ছাড়া সম্পাদকীয় পদে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীদের রাখা হয়নি।
নতুন কমিটিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা হলেন- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্লাহ, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, , ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, অ্যাড. আব্দুল মান্নান খান, আবদুল মতিন খসরু, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকরা হলেন, মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম।
আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাম্মী আক্তার, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজিবুল্লাহ হিরু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নদী, দপ্তর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহের আফরোজ চুমকি, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুন অর রশীদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শামসুন নাহার চাঁপা।
সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এবং স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা।