নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে মারধরের কথা প্রমাণ না হওয়ায় লাঞ্ছিতের ঘটনায় করা মামলায় এমপি সেলিম ওসমানকে অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম এমদাদুল হক মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি অব্যহতি দেন। তবে এ মামলার অপর আসামি অপুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
সেলিম ওসমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার রায়হান ও সিদ্দিকুর রহমান শুনানিতে বলেন, জুডিশিয়াল তদন্তে শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে মারধরের কথা প্রমাণ হয়নি। কান ধরের উঠবসের যে কথা বলা হয়েছে তা শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে জনরোষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁচানোর জন্য করা হয়েছে। তাই এই মামলার দায় থেকে সেলিম ওসমানকে অব্যাহতির আবেদন করছি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য এ.কে.এম সেলিম ওসমান সবার সামনে ওই শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করান। এর একপর্যায়ে শ্যামল কান্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ওই রাতেই তাকে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরদিন শহরের খানপুরে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডা. শফিউল আজমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০ মে পুলিশি প্রহরায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২০১৬ সালের ১০ আগস্ট শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান জড়িত কিনা, সে বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
আদালত ওইদিন আদেশে বলেন, কান ধরে উঠবসের ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সম্পৃক্ততা নেই-মর্মে পুলিশের প্রতিবেদনে প্রকৃত সত্য তুলে ধরা হয়নি। পুলিশের প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য। ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হাফিজুর রহমান বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদন হলফনামা আকারে দাখিল করেন।