পাকিস্তানকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪  : মাশরাফী, রুবেলের উড়ন্ত ক্যাচ। লিটনের এক ক্যাচ মিসের বদলে দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্টাম্পিং। বাংলাদেশ যেমন বলে মারল, তেমনি মারল দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে। পাকিস্তান থেমে গেল ৩৭ রান আগে। তৃতীয়বারের মতো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা উঠে গেল এশিয়া কাপের ফাইনালে।

এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। নিজেদের সেরা ব্যাটসম্যান এবং অলরাউন্ডারকে ছাড়াই আজ এ জয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান এবং ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহমান। এর আগে  নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭ বল বাকি থাকতেই ২৩৯ রানে অলআউট হলো টিম টাইগারস।

আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ পারফর্ম করা ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ এদিন ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। ইমরুল ৯ ও মাহমুদউল্লাহ ২৫ রান করেন। ইনিংসের শুরুতে ও শেষ দিকে পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খান একাই ৯ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট।

এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ প্রথম ফাইনাল খেলে ২০১২ সালে। সেবার মিরপুরে মাত্র ২ রানে পাকিস্তানের কাছে হেরে ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়। টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২০১৬ আসরেও ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় স্বাগতিকদের। এখন ভারতের বিপক্ষে আরেকটি ফাইনাল।

আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবারের অলিখিত সেমিফাইনালটা বাংলাদেশের জন্য এতটুকু সহজ ছিল না। ব্যাটিংয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে মুশফিক (৯৯)-মিঠুন (৬০)  ১৪৪ রানের কাব্যিক এক জুটি গড়ে দলকে ২৩৯ রানের সংগ্রহ এনে দেন। বল করতে নামলে ম্যাচ দুলেছে পেন্ডুলামের মতো।

পাকিস্তানের তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ইমাম-উল-হককে নিয়ে শোয়েব মালিক বাংলাদেশের চিন্তা বাড়াচ্ছিলেন। জুটি যখন ৬৭ রানের, তখন পাখির মতো উড়ে ক্যাচ নিয়ে মালিককে সাজঘরে পাঠান অধিনায়ক মাশরাফী।

মাশরাফী ক্যাচটি নেন ২১তম ওভারে। রুবেলের প্রথম বলটি মিডউইকেট দিয়ে ফ্লিক করতে যান মালিক। শর্টমিড উইকেটে ছিলেন মাশরাফী। সুপারম্যানের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে বল ধরে ফেলেন। ৫১ বলে ৩০ রানে ফিরতে হয় মালিককে।

মাশরাফী, রুবেলের উড়ন্ত ক্যাচ। লিটনের এক ক্যাচ মিসের বদলে দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্টাম্পিং। বাংলাদেশ যেমন বলে মারল, তেমনি মারল দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে। পাকিস্তান থেমে গেল ৩৭ রান আগে। তৃতীয়বারের মতো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা উঠে গেল এশিয়া কাপের ফাইনালে।

এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ প্রথম ফাইনাল খেলে ২০১২ সালে। সেবার মিরপুরে মাত্র ২ রানে পাকিস্তানের কাছে হেরে ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়। টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২০১৬ আসরেও ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় স্বাগতিকদের। এখন ভারতের বিপক্ষে আরেকটি ফাইনাল।

আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বুধবারের অলিখিত সেমিফাইনালটা বাংলাদেশের জন্য এতটুকু সহজ ছিল না। ব্যাটিংয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে মুশফিক (৯৯)-মিঠুন (৬০)  ১৪৪ রানের কাব্যিক এক জুটি গড়ে দলকে ২৩৯ রানের সংগ্রহ এনে দেন। বল করতে নামলে ম্যাচ দুলেছে পেন্ডুলামের মতো।

পাকিস্তানের তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ইমাম-উল-হককে নিয়ে শোয়েব মালিক বাংলাদেশের চিন্তা বাড়াচ্ছিলেন। জুটি যখন ৬৭ রানের, তখন পাখির মতো উড়ে ক্যাচ নিয়ে মালিককে সাজঘরে পাঠান অধিনায়ক মাশরাফী।

মাশরাফী ক্যাচটি নেন ২১তম ওভারে। রুবেলের প্রথম বলটি মিডউইকেট দিয়ে ফ্লিক করতে যান মালিক। শর্টমিড উইকেটে ছিলেন মাশরাফী। সুপারম্যানের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে বল ধরে ফেলেন। ৫১ বলে ৩০ রানে ফিরতে হয় মালিককে।

৪০তম ওভারে আসিফ আলী মেহেদীর এক বলে ডাউন দ্য উইকেটে আসতেই লিটন স্টাম্প ভেঙে দেন। আসিফ ফেরার আগে ইমামের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়ে যান। তিনি ফিরলেও বিপজ্জনক ইমাম বাংলাদেশকে অস্বস্তিতে রেখেছিলেন। ব্যক্তিগত ৮৩ রানে এই ওপেনারকে ফিরতে হয় লিটন-রিয়াদের যুগলবন্দীতে। তিনিও ডাউন দ্য উইকেটে এসে আর ফিরতে পারেননি।

শেষ ৭ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল ৬৪। হাতে তিন উইকেট। এমন সময় ৪৪তম ওভারে হাসান আলীকে (৮) মাশরাফীর ক্যাচ বানান মোস্তাফিজ।

৪৬তম ওভারে এসে মোস্তাফিজ আবারও সাফল্য পান। এবার ফেরান মোহাম্মদ নওয়াজকে। ফিজের এটি চতুর্থ উইকেট। ১০ ওভারে খরচ করেন ৪৩।

মিরাজ ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। রিয়াদ ৩৮ রানে নেন এক উইকেট। সৌম্য ৫ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। রুবেল ৮ ওভারে ৩৮ রানে নেন ১ উইকেট। মাশরাফী ৭ ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে উইকেটহীন।

add-content

আরও খবর

পঠিত