নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : শিশু সাদমান সাকি নিখোঁজের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে নাসিক ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সজল বলেছেন, আমিও তো কারো পিতা, আমি প্রশাসনের কাছে আহবান করবো এই ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক। কিন্তু সাদমান সাকির বাবা সৈয়দ ওমর খালেদ ওরফে এপন আমাকে ও ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানকে নিয়ে যে বক্তব্য প্রদান করেছে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে তিনি সাদমানের পিতা এপনের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, নিখোঁজ ছেলেকে নিয়ে অপ-রাজনীতি থেকে বিরত থাকুন। কারো প্ররোচনায় পড়ে বিভ্রান্তমূলক কথা বলে মামলাটাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করবেন না।
শিশু সাদমান সাকি নিখোঁজের ঘটনায় তাকে জড়িয়ে যে বক্তব্য ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে তার প্রতিবাদে রোববার (১৮ মার্চ) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় নাসিক কাউন্সিলর নির্বাচনে প্রতিদ্দন্দ্বিতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আমি ও এপনসহ ৭ জন প্রার্থী ছিলাম। নির্বাচনের ফলাফলে আমি ৪ হাজার ৮৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হই। অন্যদিকে ১২০ ভোট পেয়ে সাত প্রার্থীর মধ্যে সপ্তম হয় এপন।ওই নির্বাচনে তার জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়। সুতরাং তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে বলার প্রশ্নই ওঠে না। যদি তার সাথে আমার শত্রুতাই থাকে তাহলে তার অভিযোগের প্রথমেই আমাদের নাম থাকার কথা। ঘটনার ১০ মাস পরে কেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলো ?
সাকি নিখোঁজে পরিবারের প্রতি সন্দিহান প্রকাশ করে তিনি আরো জানান, সাদমান সাকি নিখোঁজের পর তার বাবার দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ তার আত্মীয় জিল্লুর রহমান, সোহেল আহম্মেদ আররা ও আব্দুর রহমান তপনকে গ্রেফতার করে। এছাড়াও সাদমান সাকি নিখোঁজ হওয়ার পর একটি নাম্বার থেকে ফোন আসে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। আরেকটি নাম্বারে বিকাশে সাড়ে ৪ হাজার টাকা পাঠায়। তদন্ত করে সৈয়দ ওমর খালেদ ওরফে এপন এর ছোট ভাইয়ের জড়িত হওয়ার প্রমান পাওয়া যায়। পরবর্তীতে পুলিশ মামলার তদন্তের স্বার্থে তার ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে এলে সৈয়দ ওমর খালেদ ওরফে এপন তার ছোট ভাইকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।কাকে দেয়া হয়েছিল টাকা? এই নাম্বারটা কার? তাছাড়া এপন মাদকের সাথে জড়িত, তাকে ডোপ টেস্ট করা হউক। আমি খবর পেয়েছি ওমর খালেদ ওরফে এপন ও তার ছোট ভাইয়ের মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা হারিয়ে যাওয়া নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। তার বৃদ্ধ মাকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এটার কোনো মামলা হয় নাই কেন। পারিবারিক অনেক কোলহ রয়েছে তার। আমার সন্দেহ হয়। সুষ্ঠু তদন্ত করলে এটি বের হয়ে যাবে কে আসল অপরাধী। যে কোনো হত্যা বা গুমের ঘটনা ঘটলেই ৪/৫ জন লোক ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে ওসমান পরিবারকে দোষারোপ করে । এতে করে আসল অপরাধী পার পেয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলো, মহানগর আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. কবির হোসেন, নাছির শেখ, আতাউর রহমান, আলী আহমেদ শেখ, আবদুল হাই, মনির হোসেন, আতাউর রহমান, বৈদনাথ পোদ্দার, সাব্বির আহম্মেদ সাগর, আমির উল্লাহ রতন, সাখাওয়াত হোসেন সুমন, নাছির আহম্মেদ, শাহীন হোসেন, সফি উদ্দিন সোহেল, মিজানুর রহমান, আবুল বাসার বাসেদ, মোজাম্মেল হক, সদস্য সচিব সবদার হোসেন সহ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও নাসিক ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহ ফয়েজ, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিলুর রহমান লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি ও প্রমুখ।