নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ভোটের দিন সকল ধরণের নিরাপত্তা দিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. হারুন উর রশীদ। শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গণমাধ্যকর্মীদের সাথে নির্বাচনকালিন নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নে ওই কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, জনগণ যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটটা দিতে পারেন, কোথাও যেন কোনো ঝামেলা না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করবো।
তিনি আরো বলেন, ভোটের দিনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ইতোমধ্যে ৫ ভাগে ভাগ করে ব্রিফ করেছি। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট, বাক্স পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। ভোটের দিনে অইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।
এসপি হারুন বলেন, দুই হাজারের মতো পুলিশ সদস্য ভোটের দিন কাজ করবে। প্রতিটি থানায় একজন করে অ্যাডিশনাল এসপি তদারকি করবেন। আমরা মনে করি, নারায়ণগঞ্জে যেহেতু কোনো ঝামেলা হয় নাই, আইনশৃঙ্খলার কোনো বিঘ্ন ঘটে নাই। আশা করি কালও তেমন কিছু হবে না। আমাদের পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী যারা রয়েছেন তারা একসাথে কাজ করবে।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের নিরাপত্তা সম্পর্কে এবং নাশকতার শঙ্কা প্রসঙ্গে হারুন উর রশীদ বলেন, নাশকতার কোনো ধরণের আশঙ্কার খবর আমাদের কাছে নেই। সুতরাং নাশকতার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে, এটাকে মাথায় রেখেই আমরা সিকিউরিটি প্লান তৈরি করেছি। এ কারণে প্রার্থীরা প্রতিটি কেন্দ্রেই তাদের প্রচারণা নির্বিগ্নে করতে পেরেছে। আমরা প্রার্থীদের যেমন সিকিউরিটি দিয়েছি। একইভাবে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতেও আমরা বেশি পরিমাণ পুলিশ নিয়োগ করবো। নদী বেস্টিত কেন্দ্রগুলোতে আমাদের বিশেষ নজরদারি থাকবে।
পুলিশ প্রশাসনের সহয়াতায় ভোটের আগের দিনই ভোট মারা হতে পারে, বিএনপির এম শঙ্কার জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, এমন হওয়ার প্রশ্নই আসে না। নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সদস্য যারা রয়েছেন, তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার জন্য কাজ করছে। এ কারণে নারায়ণগঞ্জে প্রতিটা প্রার্থী সমান সুযোগ পেয়েছেন। এ কারণে নারায়ণগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আমি এটুকু নিশ্চিত করছি, যারা ভোট দিতে আসবে তারা যেন তাদের ভোটটা দিতে পারে সেটি আমরা নিশ্চিত করবো।