নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ১নং ওয়ার্ডের পাইনাদি প্রিকেডেট এন্ড হাই স্কুল নামে একটি স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে ৯ জন শিক্ষার্থীর আগামী ১৯ জুনের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না। ১৩ জুন সোমবার তারা স্কুল থেকে পরীক্ষার প্রবেশ পত্র সংগ্রহ করতে এসে বিষয়টি জানতে পারে। এ নিয়ে ওই শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিজমিজি তেরা মার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে ভুক্তভোগী ৯ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এসময় তারা প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানের অপকর্মের বিচার চেয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। পরে তারা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে।
অপর দিকে নাসিক ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী আনোয়ার ইসলাম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারা শির্ক্ষার্থীদের অর্থের বিনিময়ে ১ বছরের ক্ষতি পূরনের দায়িত্ব নিয়েছেন বলে দাবি করেন ওই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক খলিলুর রহমান। তবে কাউন্সিলর হাজী আনোয়ার ইসলাম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এ নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, স্কুলটি হাই স্কুল নামে পরিচিত হলেও তার নিবন্ধন নেই। অনুমোদহীন এই স্কুলের নাম ব্যবহার করে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া হয় অন্য স্কুলের নামে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের স্কুলের নামে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে অন্য স্কুলের নামে তারা এসএসসি পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ গ্রহণ করাচ্ছে।
এদিকে এই ৯ জন শিক্ষার্থীও ভবিষ্যৎ প্রায় অনিশ্চিৎ হয়ে পরেছে। এর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন তিনি। এ বিষয়ে পাইনাদী প্রিকেডেট এন্ড হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক খলিলুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, করোনার কারণে আমার স্কুলের অফিস সহকারী নয়ন দীর্ঘ ৭ থেকে ৮ মাস থেকে অনুপস্থিত ছিলো। এই শিক্ষার্থীদের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশন করার কথা ছিলো। কিন্তু নয়ন উপস্থিত না থাকায় এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর হাজী আনোয়ার ইসলাম আমাকে এই ৯ শিক্ষার্থীর ক্ষতিপূরণ বাবত ২৫ হাজার টাকা করে দিতে বলেছেন। আমি তাদের টাকা পরিশোধ করে দিবো বলে জানান ওই প্রতিষ্ঠাতা। সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেব জানান, ওই স্কুলটির কোনো নিবন্ধন নেই। এটি আমাদের অধীনেও নেই। কেউ যদি অভিযোগ করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।