নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিনিধি ) : ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের পুরাতন মূল সড়কটি অধিকাংশই অন্ধকারাচ্ছন্ন। কিছু কিছু স্থানে নিভু নিভু বাতির আলো জ্বললেও প্রায় অর্ধমৃত। এ সড়কের অনেকাংশে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় যানবাহনের আলোয় চলছে পথচারীরা। দুই বা একজনকে হাতে মোবাইলের আলো জ্বেলেও হাঁটতে দেখা যায়। তবে বাতিহীন সড়কের ব্যাপারে ভ্রæক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। এমনই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীদের।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা চাষাঢ়া ডাকবাংলো হয়ে জামতলা দিয়ে পথ চলা শুরু করলেই দেখা যাবে এমন চিত্র। রাত যতই গভীর হয় ঘুটঘুটে অন্ধকার পরিবেশ তৈরি হয়। এতে ভয়ংকর অবস্থায় পরিণত হচ্ছে এ সড়কটি। পাশাপাশি সুযোগ নিচ্ছে বখাটে, মাদকাসক্ত ব্যাক্তি, চোর, ছিনতাইকারীর মত অপরাধীরাও।
জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের পাশে মুসলিম, হিন্দু ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য আধুনিক ডিজাইনে শেষ কৃত্য স্থানটিকে প্রস্তুত করা হলেও নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। এতে করে বিভিন্ন সময়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। কখনও ঘটছে মোটর সাইকেলে দুর্ঘটনা, কখনও ব্যাটারী চালিত রিক্সা কখনও প্রাইভেট কার কিংবা ট্রাক খাদে পড়ে থাকার ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কিছু অংশ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, কিছু অংশ ইউনিয়ন আবার এলজিআরডির। এ দ্বিধা দ্বন্দ্বে এ সড়কের বাতি নিয়ে তেমন একটা ভ্রুক্ষেপ করেন না কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া মূল সড়ক এবং শিল্প কারখানা বেষ্টিত এলাকা হওয়ায় সন্ধ্যার পর দোকানপাট বন্ধ হতে শুরু করে। ফলে চারপাশ নীরব থাকায় এ পথে যাতায়াতকারী শ্রমিক ও নানা পেশাজীবী মানুষ চলাচলকালে আতংকিত থাকতে হয়।
ভুক্তভোগী একাধিক বাসিন্দা বলেন, অন্ধকারে ছিনতাইয়ের শঙ্কায় ভুগতে হয়। এছাড়া হাঁটার সময় একটু অসাবধান হলে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটছে। কিছু কিছু স্থান অন্ধকার থাকায় মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের আনাগোনাও বেড়েছে।
সড়ক বাতির এমন ভোগান্তিতে ক্ষোভ দেখা গেছে সাধারণ জনগণের মাঝে। মোটরসাইকেল চালক খোকন বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই তো এ অবস্থা! শুধু কোন উৎসব বা জাতীয় দিবস আসলে আলোকসজ্জ্বা চোখে পড়ে, তা না হলে তো অন্ধকারই থাকে। চাকুরী করি, বাসা যেহেতু এখানে। এ সড়ক দিয়েই যেতে হয়, চলাচল তো করতেই হবে। এ রাস্তায় কোনো বাতি কি আসলেই আছে ? আমার তো সেই সন্দেহ হয়। সড়কের মাঝে মাঝে গর্ত। তারমধ্যে কোথাও কোথাও মোটা কাঁদা। ফেলে রাখা হয়েছে ময়লা আবর্জনা। যে কোনো সময় আমাদের মত আরোহীদের মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর ঘটেছেও। কিন্তু কর্তৃপক্ষের তো টনক নড়ে না।