নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নওগাঁ প্রতিনিধি ) : পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের মামার বাড়ি কবিতার উক্তিগুলো রূপ পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক মাস। তবে সুখের ঘ্রান বইতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। চারিদিকে ছড়িয়ে পরেছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রান। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করেছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধু মাসের আগমনি বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরে জমিনে দেখা যায়।
গ্রাম গুলোর মধ্যে খালি জায়গা পুকুর পার, রাস্তার পাশে ও বাড়ির আঙ্গিনায় গাছ গুলোতে কেবলই শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারিদিকে ছরাচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রান তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার উপর। আবহাওয়া অনুকুল থাকলে এবছর বাম্পার ফললের আশা করছে বাগান মালিকরা।
এ দিকে মৌসমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছ গুলো। তবে বড় আকারের চেয়ে মাঝারি ছোট আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ফুটছে স্বপ্ন। আমগরূপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি ও খিরসা পাতি অন্যতম। ইতি মধ্যে এসব গাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরো কয়েক সপ্তাহ লাগবে।
বাগান মালিকরা জানায়, মুকুল আসার শুরু থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছে। মুকুলে রোগ বালায়ের আক্রমন থেকে রক্ষা করতে স্থানিয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ঔষধ ব্যবহার করছেন। উপজেলার কৃষি অফিসার হাসান আলী জানান, ব্যানিজিক ভাবে আমের ফলন না হলেও অনেক বাগান মালিক নিজ উদ্যোগে আম বাগান করেছে। আমরা তাদেরও পরামর্শ দিচ্ছি।