জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মানুষের জানমাল বাঁচাবার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা একটা ট্রাস্ট ফান্ড করে এ প্রাকৃতিক দুযোর্গ এবং গোবাল ওয়ার্মিং থেকে বাংলাদেশ যাতে রক্ষা পায় সেই কর্মসূচিও আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমি মনে করি পৃথিবীতে বোধহয় বাংলাদেশই একমাত্র দেশ প্রথম এ ব্যবস্থা নিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এর আগে সকালে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলন উপলক্ষে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তেলন করেন প্রধানমন্ত্রী এবং শ্রমিক লীগের দলীয় পতাকা উত্তেলন করেন সংগঠনটির সভাপতি শুকুর মাহমুদ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর পরিবেশনায় এ সময় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। পরে শিল্পী ফকির আলমগীরের নেতৃত্বে একই শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পিরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। এরপরই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতসহ বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়। এরপর শোক প্রস্তাব পাঠ করা হয়।
শ্রমিক লীগের প্রয়াত সব নেতা-কর্মীসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চারনেতা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ, সব আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। বিকাল ৩টার দিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হবে। সম্মেলনে সারাদেশের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার প্রায় ৮ হাজার কাউন্সিলর এবং ডেলিগেটরা সম্মেলনে যোগ দেন। কয়েকটি দেশ থেকে আমন্ত্রিত অতিথি এবং শ্রমিক নেতারা ও সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৬৯ সালের ১২ অক্টোবর দেশের সর্ববৃহৎ শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই জাতীয় শ্রমিক লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি শুকুর মাহমুদ এবং সিরাজুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।