দেশকে বার বার জালিমদের হাত থেকে মুক্ত করেছে বিএনপি : নজরুল ইসলাম

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খাঁন বলেন, এ দেশকে বার বার জালিমদের হাত থেকে মুক্ত করেছে বিএনপি। স্বাধীনতার পর বাকশালী সরকার এক দলীয় শাসন কায়েম করতে চেয়ে ছিলো। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেখানে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। পরবর্তীতে স্বৈরাচার এরশাদ সরকার পুনরায় দেশের মানুষের অধিকার হরন করে ৯ বছর ক্ষমতায় ছিলো। কিন্তু আমাদের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে পুনরায় মানুষের অধিকার ফিরিয়ে এনে ছিলো। ইতিহাস স্বাক্ষী কোন জালিম সরকার মানুষের অধিকার হরন করে স্থায়ী ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। ভবিষ্যত্বেও পারবে না। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নজরুল ইসলাম-ইব্রাহীম সরদার স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আর বলেন, আজ দেশের গণতন্ত্র বিপদে আর এই অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রয়োজন। কিন্তু জালিম সরকার তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগাড়ে রেখেছেন। তার সুচিকিৎসার প্রয়োজন সরকারের আজ্ঞাবাহ আদালত সেটা হতে দিচ্ছে না। একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী মাদক সহ গ্রেফতার হওয়ার পর প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পায়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও কারাগাড়ে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে ছিলো। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বেলাই কেন এমন হচ্ছে। এই ভাবে চলতে থাকলে কারাগাড়েই তার অপমৃত্যু হবে।

এসময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আমি আপনাদের মতামতে একাত্ততা প্রকাশ করছি কিন্তু আপনারা আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে বিরোধী দলের মত আচরন করছেন। হ্যা দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে আপনারা মামলার শিকার হয়েছেন কষ্ট করেছেন। আমাদের মহাসচিবের বিরুদ্ধে ৮০টি মামলা রয়েছে, দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে ৩০ টি, সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। আমি নিজেও মামলার আসামী। হ্যা আমি এটা বুঝি আমাদের মা আজ কারাগাড়ে সবারই মন কাঁদে তিনি জেল থেকে বের হলে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে পরিবর্তন আসতে পারে। সেটা হলে আপনাদের চেয়ে আমার বেশী লাভ কারন আমি মন্ত্রীও হতে পারি।

তাছাড়া তিনিই আমাকে কেন্দ্রীয় পদে আসিন করেছেন। দেশের ৩শ জায়গায় আমাদের নেতাকর্মী আছে সব জায়গায়ই ভোট কাটা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জেও এর বিপরীত হয়নি। আপনারা ঠেকালেন না কেন? আমরা তো আপনাদের মানা করি নাই। আপনারা তৃণমূল আছেন বলেই আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিতে সাহস পাই। আজকে আপনারা যে স্থানে দাড়িয়ে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন সেটা সিনিয়র নেতাদের আন্দোলন সংগ্রামের ফসল। প্রায় ৪০ বছর আগে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম বলেই আজ আপনারা নেতা। তাই সিনিয়ারদের সাথে যোগাযোগ করে সামনের দিকে এগিয়ে যান। নতুবা সাংগঠনিক দক্ষতার কাছে আপনারা হেড়ে যাবেন। কারন আপনারাই বিএনপির আগামীর ভবিষ্যত্ব। দলের এই দুঃসময়ে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুন আর সিনিয়রদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন। নতুবা এক সময় রাজনীতি থেকে ছিটকে যাবেন।

এ সময় তিনি নজরুল ইসলাম-ইব্রাহীম সরদার স্মরণে বলেন, তাদেরকে হারিয়ে দল সাংগঠনিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে যা কখনই কাউকে দিয়ে পুরন করা সম্ভব নয়। আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো নামাজ পরে তাদের জন্য দোয়া করবেন।

নজরুল ইসলাম-ইব্রাহীম সরদার স্মরণ সভার আহবায়ক ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এবং মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড. তৈমূর আলম খন্দকার, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এড. আবুল কালাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী মৎসজীবি দল কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক আব্দুর রহিম, যুগ্ম-আহবায়ক নাদিম চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জান্নাতুল ফেরদাউস, যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, নাজির আহম্মেদ, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া সহ স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

add-content

আরও খবর

পঠিত