দুর্গাপূজায় ৩দিনের ছুটিসহ অন্যান্য দাবিতে হিন্দু ফোরামের মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরাম, হিন্দু যুব ফোরাম ও হিন্দু ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে দুর্গাপূজায় ৩ দিনের সরকারি ছুটি, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রনালয় গঠন, সরকারি চাকরিতে ২০% কোটা ও হিন্দু পারিবারিক আইন অপরিবর্তিত রাখার দাবীতে এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহালয়ার ছুটি বাতিল, দুর্গাপূজার সপ্তমীতে রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ টায় ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনকালে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার এর সভাপতিত্ত্বে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড. রবীন্দ্র ঘোষ, অন্যান্য অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কালীপদ মজুমদার, অধ্যাপক অশোক তরু, রামপদ দাস, শংকর কুমার দাস, টিকে পান্ডে, সুনীল চক্রবর্তী, সহ-সাঃ সম্পাদক অ্যাড. বাসুদেব গুহ, সহ-সম্পাদক- সম্ভুনাথ সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল মজুমদার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অরুন কুমার দাস, দপ্তর সম্পাদক গোপাল মন্ডল।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হিন্দু যুব ফোরামের কেন্দ্রেীয় কমিটির সভাপতি অ্যাড. বিবেক জোয়ারদার, সাধারন সম্পাদক অ্যাড. মানিক সরকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহন দাস, হিন্দু ছাত্র ফোরামের কেন্দ্রেীয় কমিটির সভাপতি অজয় কুমার বিশ্বাস, সহ-সভাপতি রাজীব দাস, সা.সম্পাদক সুফল কুমার মন্ডলসহ হিন্দু ফোরাম, হিন্দু যুব ফোরাম ও হিন্দু ছাত্র ফোরামের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলার নেত্রীবৃন্দ।

উক্ত মানববন্ধনে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, ৩দিনের দুর্গাপূজায় ১দিনের ছুটি অন্তত অপ্রতুল। ৩দিনের ছুটির জন্য এর আগেও বর্তমান সরকারের কাছে ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছেন হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি।

আমরা মনে করি, ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব এ দুর্গাপূজায় তিন দিন সরকারি ছুটির ঘোষণা এখন সময়ের দাবি। তবে সরকার এবার তাদের দাবি পূরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড. রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, হিন্দুশাস্ত্রীয় (দায়ভাগা) উত্তরাধিকার আইন নিয়ে চক্রান্ত চলছে, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ কতিপয় এনজিও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে হিন্দু নারীদের সম্পত্তিতে অধিকার নেই- এ বাহানা তুলে হিন্দু পরিবারগুলোকে ধ্বংস করার এক গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এ আইনটি অনেক পুরনো এবং যুগ যুগ ধরে পালন করে আসছে এ সম্প্রদায়। মহিলা পরিষদসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলকে ধর্মীয় তথা শাস্ত্রীয় বিধানের বিরুদ্ধে হস্তক্ষপ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, সামনে শারদীয় দুর্গাপূজা কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো আনন্দ নেই বরং হতাশা বাড়ছে। কারণ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর করা হচ্ছে। অভলিম্বে ৩ দিনের সরকারি ছুটি, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রনালয় গঠন, সরকারি চাকরিতে ২০% কোটা ও হিন্দু পারিবারিক আইন অপরিবর্তিত রাখার দাবী এবং সরকারি  প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মহালয়ার ছুটি দান, দুর্গাপূজার সপ্তমীতে রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়গুলি সরকার দ্রূত আমলে নিয়ে অতন্ত গুরুত্তে¡র সাথে বিবেচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে মানববন্ধনে সরকারের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও সারাদেশে একের পর এক হিন্দু নির্যাতন ঘটে চলছে। নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিভিন্ন প্রতিবাদ সভা হওয়া সত্বেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। আমরা এদেশের নাগরিক, আমাদের নিরাপত্তা ও বিভিন্ন দাবী দাওয়া পূরণ করা প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব। আর এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না বলে অশাবাদ ব্যাক্ত করেন নেতৃবৃন্দ ।

add-content

আরও খবর

পঠিত