নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : দাবিকৃত দুই লক্ষ টাকা না দেয়ায় ক্ষুদ্র হোসিয়ারী ব্যবসায়ীকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এএসআই এনায়েত করীমের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভুক্তভোগী জিকু এর পিতা মজিবর রহমান মিথ্যা ও হয়রানি মুলক মামলা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নাসিক ১৮ নং ওয়ার্ডের শহীদ নগর থেকে জিকু ও শামীমকে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত এএসআই এনায়েত করীম।
ভুক্তভোগী জিকুর পিতা মজিবর রহমানের অভিযোগ, তার বড় ছেলে জিকু ৩টি মেশিন নিয়ে একটি ছোট হোসিয়ারী দিয়ে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছে। গত ১২ ডিসেম্বর মাগরিবের নামাজের সময় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এ এসআই এনায়েত করিম গিয়ে তার ছেলে জিকু এবং অপারেটর শামীমকে মাদকাসক্তের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থানায় নিয়ে আসে। তিনি নামাজ শেষে এসে বাসার সামনে লোকজনের ভীড় দেখে এ ঘটনা জানতে পারেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনের সাথে কথা বলে আরো জানতে পারে, ওই সময় তার ছেলের কাছে কিছুই পায়নি, এসে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর আমি এএসআই এর সাথে যোগাযোগ করলে টাকা দাবী করে। আর না দিলে ছেলেকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। অনেক বিনয়ে অনুরোধ করেও তার এই অনৈতিক সুবিধা না দিলে আমার ছেলেকে ছাড়বে না সাফ জানিয়ে দেয়।
অভিযোগে মজিবর আরো বলেন, যেখানে আমার ছেলে একটি সিগারেটও খায় না, সেখানে হেরোইনের মতো নেশাদ্রব্য দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়। আমি সন্ধ্যার পর থানায় গেলে আমার নিকট এএসআই এনায়েত দুই লক্ষ টাকা দাবী করে এবং শাসাইয়া বলে টাকা নিয়ে আসেন। আমি অনেক কষ্ট করে স্ত্রীর জিনিস বন্ধক রেখে ৩০ হাজার টাকা পরের দিন শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় সুমনের মাধ্যমে এএসআইকে দেই। টাকা লেনদেন এর ব্যাপারে ০১৯১১৬৯৩৯২৫ নাম্বার থেকে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু দাবীকৃত দুই লক্ষ টাকা না দিয়ে ৩০ হাজার টাকা দেয়ায় আমার ছেলে ও শামীমকে ১০০ পুড়িয়া হেরোইন দিয়ে চালান দেয়। যে ছেলে জীবনে মাদক স্পর্শ করে নাই তাকে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে কোর্টে পাঠায়। সে এখন অসাধু পুলিশ অফিসার এএসআই এনায়েত করীমের জন্য বিনা অপরাধে জেল হাজত খাটছে।
তবে এই অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এএসআই এনায়েত করীম নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমি কোন টাকা দাবী করিনি। জিকুর পিতার যদি সৎ সাহস থাকে আমার সামনে বলতে বলুন। আমি পুলিশের পোশাক খোলে চলে যাবো। সে একজন আইনজীবী ও বিশেষ পেশার লোক দিয়ে জিকুকে ছাড়াতে তদবির করেছিল। তাদের কথা না রাখায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।