ড্রেজার জুনিয়র স্কুল কেন বন্ধ, জানতে চান হাইকোর্ট

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ৩৩ বছরের পুরনো ড্রেজার জুনিয়র হাই স্কুল বন্ধের কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ও নারায়ণগঞ্জের ড্রেজার অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ ছাড়াও মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে স্কুলটি বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না -তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রলয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রলয়ের সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জের ড্রেজার পরিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ ১০ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী ব্যারিস্টার কাজী আখতার হোসাইন এবং তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ ফরহাদ ও এ এইচ এম রেহানুল কবীর রনি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে ড্রেজার পরিদপ্তরের নিজস্ব খরচেই ড্রেজার জুনিয়র হাই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত ২০১৬ সাল পর্যন্ত ড্রেজার পরিদপ্তরের নিজস্ব অর্থায়নে চলতো স্কুলটি। ২০১৭ সালে ড্রেজার পরিদপ্তর বাংলাদেশ পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নীট বেইস সেট আপে অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু সেখানে এই স্কুলটি অন্তর্ভুক্ত না করায় ড্রেজার পরিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর মৌখিক নির্দেশনায় ৩৩ বছর পুরোনো ড্রেজার জুনিয়র হাই স্কুলটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

add-content

আরও খবর

পঠিত