নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : শহরের খানপুর এলাকার ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ডাক্তারের ব্যবসায়িক মনোভাব আর ভুল চিকিৎসার কারণে কবিতা আক্তার নামে এক প্রসূতির মৃত্র অভিযোগ উঠেছে হয়েছে। রোববার (৫ মে) রাতে শহরের খানপুর এলাকার ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
সিজারের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জের সৈয়দপুর এলাকার বাসিন্দা রাসেলের প্রসূতি স্ত্রী কবিতা। কিন্তু সেই সিজারই যেন তার জীবনের শেষ সিজার হিসেবে পরিণত হলো। সন্তানের আলোকিত মুখ আর দেখা হলো না কবিতার।
কবিতার বড় ভাই তাজুল ইসলাম জানান, সিজারের জন্য তারা কবিতাকে প্রথমে খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখানে সিজার হবে না। আপনারা প্রসূতিকে খানপুরের ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করেন। আমি সেখানে সিজার করাবো।
ডাক্তার জাহাঙ্গীরের কথা মতো কবিতাকে ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ভর্তির সাথে সাথেই আমাদেরকে বলা হয় রোগীর অবস্থা বেশি ভাল না। ১ ঘণ্টার মধ্যে সিজার করতে হবে। আপনারা সব কিছু ব্যবস্থা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পর সিজার করা হয়। এর পর আমাদের বলা হয়, বাচ্চা ও বাচ্চার মা সুস্থ্য আছে। তখনও বলা হয়নি রক্ত লাগবে।
কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করে বলা হয় রক্ত লাগবে, রক্তের ব্যবস্থা করেন। তাদের কথা মতো রক্তের ব্যবস্থা করা হলে বলা হয় মারা গেছে। তারা রক্তের ব্যবস্থা করার কথা বলে মৃত্যুর বিষয়টি গোপন করতে চাইছিল। ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসার কারণেই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অপারেশনের পর রোগী ও বাচ্চা দুজনেই সুস্থ ছিল৷ পরে আমি চলে যাবার পর কি হয়েছে সেটা বলতে পারবো না৷
ঘটনার পর ক্ষুব্দ স্বজনরা চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমের কাছে কৈফিয়ত চাইলে তিনি পালিয়ে শহরের চাষাড়ার প্রাইম জেনারেল হাসপাতালে আশ্রয় নেন৷ পরে স্বজনরা সেখানে এসে জড়ো হন এবং চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করে রাখেন৷ পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়৷
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি, কিন্তু প্রসূতির পরিবারের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।