নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কিশোরী জিসা মনি অপহরণ মামলার চার্জশীট আদালতে জমা দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)৷ চার্জশীট জিসা মনির কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ (২২), তার বন্ধু রকিব (১৯) ও জিসার কথিত স্বামী ইকবাল পন্ডিতকে (৪০) অভিযুক্ত করা হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে সিআইডি। তবে এই মামলায় নৌকার মাঝি খলিলের সম্পৃক্ততা না পেয়ে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়েছে ৷
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো: আসাদুজ্জামান ২২ই মার্চ সোমবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি জানান, গত ১৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। আদালত তা গ্রহণ করে ২৯ এপ্রিল পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেছেন। চার্জশীট দেয়ার বিষয়টি সোমবার প্রকাশ পায়।
আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনার সাথে খলিলুর রহমান খলিল মাঝির বিরুদ্ধে তদন্তে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার আবেদন করা হয়েছে। ঢাকা পুলিশ হেড কোয়াটারের নির্দেশে মামলাটি গত বছরের ১১ নভেম্বর তদন্তের দায়িত্ব নেয় সিআইডি।
গত বছরের ৪ জুলাই কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ এনে মামলার পর রকিব, খলিলুর রহমান (নৌকার মাঝি) ও আব্দুল্লাহ নামে ৩জনকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। পরে পুলিশ আসামিদের হাজির করলে খলিল ও আবদুল্লাহ ১৬৪ ধারায় আদালতকে বলেন, জিসা মনিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। এই ঘটনার দেড় মাস পর ২৩ আগস্ট জীবিত অবস্থায় ওই কিশোরী ফিরে আসে পরিবারের কাছে৷
মৃত কিশোরী জীবিত ফিরে আসার বিষয়ে নয়া দিগন্তসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়৷ বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। পুলিশের তদন্ত প্রশ্নের মুখে পড়ে৷
এ দিকে ওই মামলায় জামিনে থাকা আসামিরা পুলিশি নির্যাতনের কারণে আদালতে মিথ্যা জবানবন্দি দিয়েছিল বলে জানায়৷ এ ঘটনায় মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপ-পরির্দশক (বরখাস্ত) শামীম আল মামুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।