জামিনে মুক্তি পেলেন কাউন্সিলর কবির ও মুন্না সহ গ্রেফতারকৃত ২২ জন

নারায়ণগঞ্জ র্বাতা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : নিতাইগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নাসিক ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলর সমর্থকদের মধ্যে সংঘঠিত সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের আপোষ আবেদন মঞ্জুর করে জামিনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আহমেদের আদালত এ নির্দেশ দেন।

এর আগে ভোর ৪টায় কাউন্সিলর কবির হোসাইন ও সাবেক কাউন্সিলর ও শ্রমিক লীগ নেতা কামরুল হাসান মুন্না সহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠায় সদর থানা পুলিশ। পরে আদালতে উভয় পক্ষ আপোষ আবেদন করেন। আপোষ আবেদন মঞ্জুর করে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জামিনের নির্দেশ দেন আদালত।

এদিকে, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার কামরুল হাসান মুন্না ও বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে গভীর রাতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। রবিবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় এশার নামাজের পর শহরের নলুয়া এলাকার জামে মসজিদে উন্নয়নমূলক বিষয় নিয়ে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার কামরুল হাসান মুন্নার সভাপতিত্বে মসজিদ কমিটির মিটিং চলাকালীন সময় জনৈক টিপু (৩৫) কাউন্সিলের নিকট মসজিদের হিসাব নিকাশ চাইলে কাউন্সিলর উত্তেজিত হয়ে অন্যান্য লোকজনের সহায়তায় টিপুকে ঘাড় ধরে মসজিদ থেকে বের করে দেয়।

টিপু মসজিদের বাহিরে এসে তার পক্ষের লোকজনদের একত্রিত করে এবং কাউন্সিলর কবির হোসেনকে সংবাদ দেয়। এমতাবস্থায় মুন্না কমিশনারের ভাই রাজিবুল হাসান রানা (৩৮) তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে একত্রিত হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে এবং এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। তাৎক্ষণিকভাবে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। এর জের ধরে রাত অনুমান ১টায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয়পক্ষে অর্থাৎ কমিশনার কামরুল হাসান মুন্না ও কাউন্সিলর কবির হোসেনের সমর্থিত লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা করে।

তাৎক্ষণিকভাবে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম, পিপিএম নেতৃত্বে পুলিশ লাইন্স হতে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কমিশনার কামরুল হাসান মুন্না ও কাউন্সিলর কবির হোসেনসহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এবং ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। হামলায় উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের দুটি মামলা হয় এবং আসামীদেরকে সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।

উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম(বার), পিপিএম (বার) সদর থানার ওসিকে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ প্রদান করেন এবং বলেন যে, কোন প্রকার তদবির শোনা হবে না। অন্যায় করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না সে যেই হোক না কেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত