চেয়ারম্যান জাকির ও মতির দ্বন্দ্বে বিপাকে ইউনিয়নবাসী

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : আবারো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে আলীরটেক ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের মধ্যকার বিরোধ। এরআগেও নির্বাচনে প্রার্থীতার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের মধ্যে বিরোধ ও পাল্টা বক্তব্যে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা দেখা গেছে। যা এবারের নির্বাচনে জাকির হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় অনেকটাই থমকে ছিলো। তবে সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নে ঈদের নামাজ আদায় করা একটি মাঠকে ঘিরে আবারো উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা ।

জানা গেছে, আলীরটেক ইউনিয়নে ডিক্রিরচর এলাকায় বাজারের সামনেই দীর্ঘ কয়েক বছর ঈদের নামাজ আদায় করা হত একটি মাঠে। যা পরবর্তিতে ঈদগাহে নাম দেন সাবেক চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি। প্রতিবছর সেখানে ঈদের জামাত আদায় করা হলেও এবার তা হয়নি। কারণ সদ্য বিজয়ী চেয়ারম্যান জাকির হোসেন এবারের ঈদের জামাত আদায় করার জন্য স্থান পরিবর্তন করেছেন।

তাছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, ঈদের জামাত আদায় করা সেই মাঠটিতে থাকা মিম্বর, বেষ্টনী দেয়ালসহ সকল স্থাপনা তিনি ভেঙ্গে দিয়েছেন। এতে করে স্থানীয় মুসুল্লিদের মধ্যেও চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তবে অনেকেই মুখ খুলতে না চাইলেও কেউ কেউ বলছেন তাদের দুইজনের ভিতরকার দ্বন্দ্বে তারা এখন বিপাকে রয়েছে। খুব শিঘ্রই তাদের এই কাইজ্জা অবসান না হলে সকল রেষ কাটে আমাদের উপর এমন মন্তব্যও করেন একজন বাসিন্দা।

যদিও জাকির হোসেন সমর্থিতদের কাছ থেকে জানা গেছে, চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নতুন করে ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছে একটি কবরস্থানের সাথে। তাই পুরাতন ঈদগাহ মাঠের সব স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এখানে ইউনিয়নবাসীর স্বার্থে একটি মার্কেট করার পরিকল্পনা হয়েছে।

অন্যদিকে সাবেক চেয়ারম্যান মতি সমর্থিত লোকদের কাছে জানা যায়, মুসুল্লিরা এটাকে ঈদগাহ হিসেবেই ব্যবহার করতো। যার জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নেও ব্যপক ব্যয় করা হয়েছিল। যেখানে সাংসদ সেলিম ওসমান সহ সরকারী অনেক অনুদানও যুক্ত হয়েছিল। এখানে বিভিন্নগ্রামের লোকেরা ঈদের নামাজ আদায় সহ ওয়াজ মাহফিলেও অংশ নিতো। যা ভেঙ্গে ফেলায় ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ডিক্রিরচর বাজারের সামনে সেই মাঠটি একসময় পুকুর ছিলো। পরে ভরাট করে মাঠ করা হয়। আর নিয়ম অনুযায়ী যেহেতু জমিটি ওয়াকফ করা নয়, কিংবা ব্যাক্তি মালিকানাও নয়, সেক্ষেত্রে বিনা অনুমতিতে যে কোন স্থাপনাই নিয়ম বর্হিভূত হিসেবেই গন্য হবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত