চাঁদপুরে ৪০টি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : বিশ্বের প্রথম চন্দ্র দর্শনের নির্ভর যোগ্য সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপুরের ৪০টি গ্রামে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে বুধবার উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। আজ ১২ই মে বুধবার সকাল ১০টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বর্তমান পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। সে সময় মুসল্লীরা ঈদের জামাতে অংশ নেয়। পরে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব, কচুয়া ও শাহরাস্তিসহ ৫টি উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামে আজ ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। নামাজ শেষে দেশের শান্তি কামনায় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয় চৌধুরী আল মাদানী বলেন, ১৯২৮ সার থেকে বিশ্ব মুফতী আল্লামা ইসহাক রহ.কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত চাঁদপুর জেলার সার্দ্রা ঐতিহাসিক দরবার শরীফের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ সর্বপ্রথম নবচন্দ্র দর্শনের নিভরযোগ্য সংবাদের ভিত্তিতে প্রতি বছরই ঈদ উল ফিতর, ঈদ উল আযহাসহ ধর্মীয় সকল উৎসবাদি পালন করে থাকি। এরপর থেকে জেলার ৫টি উপজেলার ৪০টি গ্রামের মানুষ এই নীতি অনুযায়ী ঈদসহ ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে আসছেন।

আজকের ঈদ উদযাপনের বিষয়ের প্রশ্ন করলে দরবারের বড় পীরজাদা পীর ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিসকাত চৌধুরী বলেন, গতকাল সোমালিয়া, নাইজার ও পাকিস্তানে চাঁদ দেখেছে। ওই সংবাদ নির্ভরযোগ্য ভিত্তিতে প্রাপ্তহয়ে হানাফী মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক বুধবার আমরা ঈদ উল ফিতর উদযাপন করছি।

সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. খাজা বাকী বিল্লাহ মিসকাত চৌধুরী বলেন, এ বছর লকডাউনের কারণে অনেক মানুষ ঈদ করতে বাড়িতে আসতে পারেনি। তাই ঈদের নামাজের জামায়াতও অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হয়েছে।

তিনি বলেন, আগে চাঁদপুর জেলার ৪০টি গ্রামের মানুষ এই রীতি মেনে চললেও বর্তমানে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ এই রীতি মেনে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করছেন।

সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে রোজা ও ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হচ্ছে : হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।

এছাড়াও চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার বেশ কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করে আসছেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত