গ্রন্থাগার বাড়লে হাসপাতাল কমে যাবে : অতি.জেলা প্রশাসক হামিদ

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : বই পড়ি, স্বদেশ গড়ি- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো পালিত হলো জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। সারাদেশের মত নারায়ণগঞ্জেও খুব উৎসব মুখর পরিবেশে দিবসটি পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এবং সরকারি গ্রন্থাগারের উদ্যোগে সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গন থেকে আনন্দ র‌্যালী বের করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার শরীফুল ইসলাম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম মজুমদার, জেলা পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক বশির উদ্দিন ও জেলা তথ্য অফিসার সিরাজউদ্দৌলা।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, আজকে যারা সম্মানিত তারা শিক্ষার কারনেই আলোকিত, যেই দেহে শিক্ষার আলো নেই সেই দেহ মৃত অন্ধকারাচ্ছন্ন । আমরা আশা করি লাইব্রেরীতে নিয়মিত পত্রিকা পড়ার সাথে সাথে বই পড়ার মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের জন্য প্রস্তুত হতে পারবো। আগে  বেশিরভাগ  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব গ্রন্থাগার ছিল। যা এখন দেখা যায় না, অনেকেই নিজের ব্যাক্তিগত সংগ্রহে রাখেন যা কোন কাজে আসে না।

তিনি আরও বলেন,  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে লাইব্রেরী ও বেতনভুক্ত লাইব্রেরিয়ান থাকলেও তা সন্তোষজনক নয়। বই লেনদেনের ব্যবস্থাটি ব্যপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। এজন্য গ্রন্থাগারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আর এসব গ্রন্থাগারে সাধারণ মানুষের পদচারণা বৃদ্ধি পেলে হাসপাতালর সংখ্যা কমে যাবে। বই পড়ার অভ্যাস মানুষকে সুস্থ্য রাখতে সহযোগীতা করে। তাই গ্রন্থাগারের সংখ্যা বাড়লেই হাসপাতালের সংখ্যা কমে যাবে। আমরা আশা করি জেলা গণগ্রন্থাগার কর্মকর্তা এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। পরে এ বিষয়ে মার্চের শেষে কর্মশালা করা হবে বলে আশ্বাস দেন জেলা লাইব্রেরিয়ান।

সভায় জেলা শিক্ষা অফিসার শরীফুল ইসলাম বলেন, জ্ঞান আহরণের জন্য লাইব্রেরির বিকল্প নেই। তাই লাইব্রেরীতে বিচরণ করতে হবে। লাইব্রেরিতে যাদের পদাচারণা বেশি তারাই উচ্চ আসনে সমাসীন হতে পারে।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের কর্মকর্তা এম এম মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের সমাজে গ্রন্থাগারের বিকল্প নেই। গ্রন্থাগার হলো আমাদের চির সঙ্গী। গ্রন্থাগার হাসাপাতালের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

আলোচনার শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার কর্তৃক পরিচালিত কুইজ প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্কুলের অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরন করা হয়। এছাড়াও  উপস্থিত ছিলেন, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের কর্মকর্তা এম এম মোশারফ হোসেন, কালচারাল অফিসার সৈয়দা সাহিদা বেগম, ইউনেস্কো ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জের সাধারন সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাস ও ইয়ুথ ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রনি সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

উল্লেখ্য, সরকার ৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ ঘোষণা করেছে। দিবসটিকে জাতীয়  গ্রন্থাগার দিবস হিসেবে উদ্যাপনের নিমিত্তে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত পরিপত্রে দিনটিকে (খ) শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত