গডফাদারদের বাঁচাতে নারায়ণগঞ্জ ডিবির বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : জেলায় তেল চোর সিন্ডিকেট থেকে নিয়মিত মাসোহারা পেয়ে থাকে গডফাদাররা। বছরের পর বছর ধরে তারা জ্বালানী তেল সেক্টরে নিয়ন্ত্রকদের শেল্টার দিয়ে আসছে। হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। গত ১১ মার্চ ফতুল্লার চিহ্নিত তেল চোর সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য ইকবাল চৌধূরীর চোরাইতেলের গুদামে জেলা ডিবি পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে ইকবাল চৌধূরীর গুদাম থেকে ৫৭ ব্যারেল চোরাই তেল উদ্ধার করা হয়। ডিবি পুলিশের এসআই জলিল মাতুব্বর বাদী হয়ে ইকবাল চৌধীরীসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলাও দায়ের করেছেন ফতুল্লা মডেল থানায়।

অপরদিকে, ইকবাল চৌধূরীও জেলা ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। ইকবালের এই মামলা পুলিশের চলমান প্রক্রিয়াকে বাধা গ্রস্থ করতেই চোরাই তেল সিন্ডিকেটের গডফাদারদের ও স্বচার্থান্বেষী মহলকে বাঁচানোর চেষ্টা বলেই মনে করে জেলা পুলিশ প্রশাসন। গডফাদারদের নির্দেশেই এই মামলা হয়েছে বলে মনে করে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুধবার (১৩ মার্চ) গনমাধ্যমে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে।

১১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই আব্দুল জলির মাতব্বুর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।  এসময় তারা জানতে পারে, ফতুল্লা বালুরঘাট (লঞ্চঘাট) এলাকার তেল চোর সিন্ডিকেটের সরদার ইকবাল হোসেন তার গোডাউনে চোরাই তেল মজুদ রেখে ব্যবসা করে।  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির এসআই জলিল মাতুব্বর তার সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স তেল চোর সিন্ডিকেট চক্রের আস্তানায় হানা দিয়ে ৫৭  টি ব্যারেল জ্বালানি তেল উদ্ধার করে। যার মধ্যে জ্বালানি তেলের পরিমান ৭ হাজার ৬শ লিটার ডিজেল, ৩হাজার ৬০ লিটার লিটার অকটেন ও ৩শ ৬০ লিটার পেট্রোল রয়েছে।

এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় আব্দুল জলিল মাতুব্বর বাদী হয়ে ১২ মার্চ একটি মামলাও দায়ের করেন ইকবাল গং  এর বিরুদ্ধে (মামলা নং-৩৯)। মামলায় আসামী করা হয় তেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্য ইকবাল হোসেন, রুবেল, কামাল হোসেন, লোকমান হোসেন রাসেল, ইব্রাহিমসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জনকে। জেলা পুলিশের দেয়া বিবৃতিতে আরো দাবী করা হয়, তেল চোরা কারবারিদের গডফাদার ও স্বার্থান্বেষী মহলকে রক্ষার্থে কতিপয় পুলিশ অফিসারদের নামে ইকবাল চৌধুরী আদালতে মামলাটি দায়ের করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও দাবি করা হয়, তেল চোর সিন্ডিকেটের আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে, পরস্পর যোগসাজসে বাংলাদেশ সরকারকে শুল্ক/কর ফাঁকি দিয়ে এবং জাহাজ থেকে চুরি করে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল অবৈধ ভাবে মজুদ রেখে তা প্রকাশ্যে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিলো।

জানা যায় যে, উক্ত সিন্ডিকেটদের পিছনে অনেক স্বার্থান্বেষী মহল যুক্ত আছে ও নিয়মিত মাসোয়ারাও তারা পেয়ে থাকে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের এই অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ঘোষিত তেল চোরাকারবারীদের অন্যতম সদস্য পলাতক আসামী ইকবাল হোসেন তার গডফাদারদের ও স্বার্থান্বেষী মহলকে বাঁচানোর জন্যই পুলিশের বিরুদ্ধে এই পিটিশন মামলাটি করেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত