নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : করোনা যুদ্ধ মোকাবিলায় সারা দেশে যোগ দিলেন দুই হাজার নতুন চিকিৎসক। এর আগে শনিবার তাদের পদায়ন দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ওই চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নাম দেয়া হয়। এর আগে গত ৪ মে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই দিন এই চিকিৎসকদের ১২ মে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছিল।
এদিকে, ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগদানকৃত ২ হাজার চিকিৎসকের তালিকায় ঠাই পেয়ে করোনাযুদ্ধের ফ্রন্টলাইনার হিসেবে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে যোগদান করেছেন নারায়ণগঞ্জের সন্তান ডা. সায়েদুর রহমান আকাশ।
গত ৩০ এপ্রিল প্রকাশিত ৩৯ তম বিসিএস পরীক্ষার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফল অনুযায়ী ডা. সায়েদুর রহমান বিসিএস (স্বাস্থ্য ক্যাডারে) সহকারী সার্জন পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে ১২ই মে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসে যোগদানের মাধ্যমে চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরি জীবনের সূচনা করলেন। পরে তাকে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে পদায়ন করা হয়।
এদিকে, বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধা হিসেবে যোগ দেয়াকে চিকিৎসক হিসেবে নেয়া শপথ বাস্তবায়নের সুযোগ বলে মনে করছেন ডা: সায়েদুর রহমান অাকাশ। এ সাফল্যের পেছনে সৃষ্টিকর্তার পর বাবা-মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ ও নিজের স্বদিচ্ছাই ছিলো সবচেয়ে বড় প্রভাবক বলেও জানান তিনি। মূলত পিতার স্বপ্নপূর
ডা: সায়েদুর রহমান আকাশ আদর্শ স্কুল থেকে ২০০৫ সালে এসএসসি এবং নারায়নগঞ্জ কলেজ থেকে ২০০৭ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে ২০০৭-০৮ সেশনে ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজে ১৪ তম ব্যাচে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে ইন্টার্নি শেষ করে চিকিৎসা সেবায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগের স্বাস্থ্য প্রকল্প ইপিএইচসিএসপি এর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন অফিসে ২০১৫ সালে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন।
পরে ২০১৬-১৭ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেলের শিশু বিভাগে উচ্চতর প্রশিক্ষন গ্রহন করেন। ২০২০ সালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে উচ্চতর ডিগ্রী এম.ডি কোর্স শুরু করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ডা: সায়েদুর রহমান আকাশ নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম দেওভোগ নিবাসী অগ্রণী ব্যাংক, নারায়ণগঞ্জ শাখার সাবেক এজিএম (অবসরপ্রাপ্ত) মো: মাহবুবুর রহমান ও সালমা আক্তার দম্পতির বড় সন্তান।