ইবাদত-বন্দেগিতে নারায়ণগঞ্জে পালিত হচ্ছে শবে কদর

নারায়ণঞ্জ বার্তা ২৪ : মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পালন করছেন মুসল্লিরা। সন্ধ্যার পর থেকেই মসজিদে মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ভিড় দেখা গেছে। এশা ও তারাবি নামাজ আদায় শেষে নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন মসজিদগুলোতে ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শুরু হয় ।

২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, তারাবি নামাজের পর অনেক মুসল্লি শবে কদরের নফল নামাজ আদায় করছেন। কেউ কোরআন তেলাওয়াত করছেন। আবার কেউবা মশগুল রয়েছেন জিকির আজকারে। কেবল মসজিদ নয়, বাসা বাড়িতেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকারে আল্লাহর নৈকট্য লাভে মশগুল আছেন।

এদিকে, পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ব্যাপক ভীড় দেখা গেছে৷ বৃহস্পতিবার রাতে শহরের বেশ কয়েকটি মসজিদে ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। তাছাড়া শবে কদর উপলক্ষে শহরের মসজিদগুলোতে করা হয়েছে দৃষ্টি নন্দন আলোকসজ্জা। এসময় এশার নামাজের পর মসজিদগুলোতে শবে কদর ও মাহে রমজানের তাৎপর্য বর্ণনায় বিশেষ বয়ানের আয়োজন করা হয়। পবিত্র এ রাতে শহরের মসজিদগুলোতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল হয়েই রাত্রি যাপন করছেন মুসল্লীরা।

বয়ান শেষে মসজিদে মসজিদে দোয়ায় দেশ ও জাতির সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

লাইলাতুল কদর আরবী শব্দ যার অর্থ হলো বরকতময়, সম্মানিত বা মহামান্বিত রাত। ফারসি ভাষায় একে শবে কদর বলা হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়।

পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে বান্দা তার মহান স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করতে পারে। অর্জন করতে পারে তার অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফেরাত।

হাদিস শরীফের বর্ণনা অনুযায়ী আজকের রাতটি পবিত্র লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা অধিক। মাস ব্যাপী সিয়াম সাধনা শেষে অধিক সম্ভাবনার ভিত্তিতে আজ রাতে সারা দুনিয়ার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করে থাকেন। মাহে রমজানের বিশেষ ফজিলত ও গুরুত্ব অনেকাংশে মহিমান্বিত এ রাতের কারণেই বৃদ্ধি পেয়েছে।

হাদিসের ভাষ্য মতে, রমজান মাসের শেষাংশের যেকোনো বিজোড় রাত অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ এর মধ্যে যেকোনো রাতই লাইলাতুল কদর। এ জন্য রমজান মাসের শেষ ১০ দিনে ইতেকাফের বিধান রাখা হয়েছে, যাতে ইতেকাফকারীরা সহজেই লাইলাতুল কদর পেতে পারে এবং এর ফজিলত লাভ করতে পারে। আলেম সমাজের অধিকাংশের মতে, ২৭ রমজানের রাতই পবিত্র লালাইতুল কদর। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.)-এর বর্ণনা মতে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে কতক সাহাবী ২৭ রমজানের রাতকে লাইলাতুল কদর হিসাবে স্বপ্ন দেখেছিলেন। একথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমাকেও তোমাদের মত ২৭ তারিখ রাতকেই লাইলাতুল কদর হিসাবে স্বপ্ন দেখানো হয়েছে। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরকে নির্দিষ্ট করতে চায় সে যেন ২৭ তারিখ রাতকে নির্বাচন করে নেয়।

add-content

আরও খবর

পঠিত