নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( আড়াইহাজার প্রতিনিধি ) : স্বামীর পরোকিয়া প্রেমে বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কুলসুম (১৯) নামে এক গৃহবধূকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী শাহ আলমের বিরুদ্ধে। ১৪ অক্টোবর সোমবার সকালে নিহতের শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আশরাফুল আমীন তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে ১৩ অক্টোবর রবিবার রাত ৩টার দিকে নিহতের শোবার ঘরে তার মাথাসহ শরীরিরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়েছে।
নিহতের পরিবারের দাবী স্বামীসহ তার পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। নিহত কুলসুমের পাঁচ মাস বয়সি এক সন্তান রয়েছে। স্থানীয় বিশ্বনন্দী ইউপির কড়ইতলা পাঁচানীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ ভিক্ট্রোরিয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের চাচা শুকুর আলী বাদী হয়ে শাহআলমকে প্রধান আসামি করাসহ তার পরিবারের আরো তিন সদস্যের নামে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এর আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের শ্বশুর কড়ইতলা পাঁচানীপাড়া এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে জলিল (৭০) ও তার স্ত্রী কুলসুম (৬৫) কে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পরই নিহতের স্বামী পালিয়ে গেছে। স্থানীয় কড়ইতলা পাঁচানিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের চাচা শুকুর আলী জানান, ২ বছর আগে স্থানীয় বিশ্বনন্দী ইউপির মানিকপুর এলাকার মৃত আব্দুল হকের মেয়ে কুলসুমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়। এরই মধ্যে তাদের দাম্পত্য জীবনে এক সন্তানের জম্ম নেয়।
তিনি আরো বলেন, বড় ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী বিল্লালের স্ত্রী রাশিদার সঙ্গে শাহআলমের পরোকিয়ার সম্পর্ক চলছিল। এনিয়ে তাদের সংসারে মনোমালিন্য দেখা দেয়। বেশ কয়েকবার বিচার-শালিসও করা হয়। এরই জেরে রাতে স্বামী ঘুমন্ত কুলসুমকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরিরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করেছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।