নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত থেকে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল চলাচল। আর শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাত থেকে বন্ধ হচ্ছে সব ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। তবে প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচনে যান চলাচলে ওপর কড়াকড়ির সময় কমিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীতে যান চলাচল বন্ধ থাকলে জনসাধারণের ব্যাপক ভোগান্তি হয়। সে জন্য কমিশন আরও শিথিল হতে চেয়েছিল। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের মুভমেন্টের সুবিধার্থে সব যান চলাচল বন্ধের পক্ষে অনড়। তাই শিথিলতা আর করা হচ্ছে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই বন্ধ থাকবে গণপরিবহন।
এদিকে আগে ৭৮ ঘণ্টা মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের পরিবর্তে ৫৪ ঘণ্টায় নামিয়ে এনেছে কমিশন। এক্ষেত্রে ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান যান চলাচলে কড়াকড়ির সময় কমিয়ে আনার নির্দেশনাটি বাস্তবায়নের জন্য এরইমধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের দিন এবং তার আগে ও পরে বিশেষ কয়েকটি যানবাহন যথা-মোটরসাইকেল, বেবিট্যাক্সি, মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপ ইত্যাদি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। একইভাবে নির্বাচন কমিশন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ দিবাগত মধ্যরাত ১১টা থেকে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বেবি ট্যাক্সি/অটোরিক্স, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, পিপ, পিকআপ, কার (ব্যক্তিগত বাদে), বাস, ট্রাক, টেম্পো চলাচল বন্ধ থাকবে।
একইসঙ্গে ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
তবে মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহনের উপর উপরে উল্লিখিত নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশী/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য।
এছাড়া, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন ও মোটরসাইকেল চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
আবার জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য, ওষুধ, খাদ্য ইত্যাদি দ্রব্যাদি সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় মহাসড়ক ছাড়াও আন্তঃজেলা বা মহানগর থেকে বাহির হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ সড়ক বা উক্তরূপ সব রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে। ভোটের দিন নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আন্তঃজেলা লঞ্চ চলবে। খোলা থাকবে সদরঘাট।