নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে চার বারের নির্বাচিত প্রয়াত সাংসদ পুত্র আজমেরী ওসমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এমন দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কয়েকটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বুধবার ( ২৬ জুন ) বিকেলে শহরের বালুর মাঠ এলাকাস্থ নারায়ণগঞ্জ দোকান প্রতিষ্ঠান কর্মচারি ইউনিয়নের কার্যালয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ১৫ টি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ কয়েকজন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করে দোকান প্রতিষ্ঠান কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, প্রয়াত সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ.কে.এম নাসিম ওসমান ছিলেন গণমানুষের নেতা। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আজ তিনি বেঁচে নেই। তবে, পিতার আদর্শকে বুকে ধারন করে তারই সুযোগ্য সন্তান আজমেরী ওসমান রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক ও সমাজসেবামূলক সব ধরনের ভালো কাজের সাথে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। বিগত কয়েক বছরের কর্মসূচী দেখলেই পাবেন আজমেরী ওসমান মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা এখানে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত আছি যে সকল সংগঠনগুলোর প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব আজমেরী ওসমান।
আরো জানান, একটি কুচক্রী মহল সাংবাদিক ভাইদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারলাম আজমেরী সাহেবকে নিয়ে তার ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে সম্মানহানী করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ন মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আদি ফুডল্যান্ডের মালিক হাবিবুর রহমান হাবিব এর সম্পর্কে ভালো করে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন। যে তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গেছে সম্ভবত। অথবা নিজের ব্যক্তিগত আক্রোশ নিয়ে একটি ষড়যন্ত্র করেছে। তা না হলে এমন একটি পরিবারের সন্তান, যিনি সর্বদা সাধারণ মানুষের জন্য সেবামূলক কাজ করেন তার ব্যাপারে এত বড় অপপ্রচার করতেন না।
আদী ফুডল্যান্ডের মালিক হাবীবুর রহমান হাবীব প্রসঙ্গে বলেন, বিগত সময়ে ওসমান পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে বিভিন্ন সময় এই পরিবারের সদস্যদের নাম ব্যাবহার করে বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবী করে আসতো কতিপয় ব্যাক্তি। যাদের কয়েকজনকে ইতিপূর্বে আজমেরী ওসমান নিজেই পুলিশেও দিয়েয়েছিলো। এর মধ্যে এই হাবীবকেও আজমেরী ওসমানের নাম ব্যাবহার করে এলাকায় অধিপত্য বিস্তার করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও চাঁদাবাজীর অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে থাকতে হয়েছিলো। হয়তো সেই জেদ ধরে সুনাম ক্ষুন্ন করার প্রন্থ্যা বেছে নিয়েছেন হাবিব।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনের শেষ মুহুর্তে সদর থানা পুলিশের ওসি মো. কামরুল ইসলাম ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর এনামুল হক এনাম সহ একাধিক টীম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আতংকের সৃষ্টি হয়। আয়োজকদের দাবী তারা শান্তিপূর্ণ ভাবেই সংগঠনের উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বিধায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। তারা চান প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হউক। কিন্তু ওইসময় পুলিশের ব্যপক উপস্থিতিতে এক ভীতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে চায়, তারা কেন এই সংবাদ সম্মেলন করছেন? এর আয়োজক কারা? পরে নাম ঠিকানা ও উপস্থিতিদের ছবি তুলে কার্যালয় ছেড়ে চলে যান।
প্রেস রিলিজে যে সকল সংগঠনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ দোকান প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়ন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, জেলা নীট ডাইং গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, জেলা ট্রাক ট্যাংকলড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন, হোসিয়ারী শ্রমিক ইউনিয়ন, মাঝি সমিতি, অন্ধ কল্যান সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা আসোক, দুরপাল্লা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন, খানপুর (৩৮১০) শাখা ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ, মাইক্রোবস ট্যাক্সি শ্রমিক ইউনিয়ন, নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল কিকেট একাডেমী, পথশিশু মুক্ত বাংলাদেশ, সরকারী খাদ্য গুদাম শ্রমিক ইউনিয়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমান দু:স্থ ও জনকল্যান ফাউন্ডেশন।