নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : বিএনপি চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়ার সাজার প্রতিবাদে চলমান আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি নেতা এড. আবুল কালাম আর আতাউর রহমান মুকুলের নিরব ভুমিকায় তৃণমূলের হতাশা। আলোচিত ওই রায় ঘোষনাকে ঘিরে প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের অন্যান্য বিএনপি’র নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ করলেও তারা যেন অদৃশ্য।
দলের ক্রান্তিকালে এমন ভূমিকায় কালাম-মুকুলরা এবারো পুর্বের মত ষড়যন্ত্রের জাল নতুন করে বিছানোর চেষ্টা করছেন বলেও ধারনা তৃণমূলের। যার মূল কারণ হিসেবে তারা মনে করেন সংগ্রামে অনুপস্থিত থাকায় কালাম-মুকুলদের নামে কোন মামলাও হয়নি যা নিজেদের গা ঢাকা দিয়ে রাখতেই তাদের এই পথ বেছে নেয়া।
জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড.সাখাওয়াত হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা স্বেচ্ছা সেবকদল যুগ্ম আহ্বায়ক এড. আনোয়ার প্রধান, জাতীয়তাবাদী জেলা আইনজীবী ফেরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এড. মাঈনুদ্দিন, কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী আবুল বাশার বাদশা, নাসিক ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধান, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুল, সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক লুৎফর মেম্বার, পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সামছুল হক সরকারসহ প্রায় একশত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৭টি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশের দায়েরকৃত ১৩ টি মামলায় স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত প্রায় সহস্রাধীক নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এড. আবুল কালাম ও সহ সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল যেন অদৃশ্য হয়ে রয়েছে।
তৃণমূল মনে করে, সরকারী দলের সাথে সম্পর্ক রেখে সমঝোতার রাজনীতি করার কারনে কালাম-মুকুলদের নামে মামলা হয়নি। দলীয় চেয়ারপার্সণের রায়কে ঘিরে যখন উত্তপ্ত নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি, শত শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তখন এড. আবুল কালাম বাংলাদেশ ছেড়ে উড়ে যান সৌদি আরবে উমরাহ হজ¦ করতে। এ নিয়ে ব্যপক আলোচনা সমালোচনা হলেও ফিরে এসে তিনি আবারও মাঠে থাকবেন তৃণমূল এমন আশাবাদি হলেও তা হয়নি।
এদিকে দলীয় চেয়ারপার্সণের বিরুদ্ধে সাজার প্রতিবাদে রাজপথে দেখা না গেলেও সরকারী দলের এমপিদের সাথে ঠিকই ফটোসেশন অব্যহত রেখেছেন আতাউর রহমান মুকুল। আর তাই তৃণমূল আশংকা করছে, আবারো কি সংস্কারের পথে হাটছেন কালাম-মুকুলরা।