২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে চলবে বিশেষ অভিযান

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : ইংরেজি নতুন বছর বরণকে সামনে রেখে মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে আগামী ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর বিশেষ অভিযান চালাবে সরকার। ১৯ ডিসেম্বর সোমবার সচিবালয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটের আইনশৃঙ্খলা ও আনুসঙ্গিক বিষয় সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি, ভুভুজেলা, পটকা না ফোটাতে আমরা অনুরোধ রাখছি। এগুলো ফুটিয়ে জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি না করতে বলা হয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফ্লাইওভার ও রাস্তায় কোনো কনসার্ট কিংবা নাচগানের আায়োজন করা যাবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনো বহিরাগত ব্যক্তি যাতে ঢুকতে না পারেন, সে জন্য ঢাবি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। প্রবেশ সীমিত করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

মাদকদ্রব্য অপব্যহাররোধে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চলবে। যেকোনো নাশকতারোধে সারাদেশে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হবে।

মাঠে কনসার্ট করা যাবে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহানগর পুলিশের অনুমতি নিয়ে কনসার্ট করা যাবে। কোনো রাস্তায় যানজট করা যাবে না। মাদকের অপব্যবহাররোধে থার্টি ফার্স্ট নাইটের সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সব বার বন্ধ রাখা হবে। কেউ যাতে অবৈধভাবে মাদক কারবার করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা রাখা হবে।

তবে এই উৎসব উপলক্ষে কোনো হুমকি আছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এমন কিছু নেই। আমরা মনে করছি, জঙ্গিবাদের উত্থানের একটি চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা আগেই তা চিহ্নিত করেছি। তারপরও আমরা সবাই সজাগ থাকবো। যাতে কোনো অঘটন না ঘটে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা সব বার বন্ধ থাকবে। দেশের পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এ সময় অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় উদ্ধার টিমসহ অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি ও অগ্নিনির্বাপণকর্মী সতর্ক থাকবেন।

এবার ৫ হাজার ৬৮২টি গির্জায় বড়দিন পালন হতে পারে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবগুলো গির্জার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। বড় গির্জাগুলোতে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে স্বেচ্ছাসেবী থাকার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করা হয়েছে। কূটনৈতিক পাড়ায়, বেশির ভাগ কূটনীতিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। গির্জাগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ গির্জাগুলোতে সুইপিং করা হবে, ভিআইপিদের চলাচলের সময় যেটা করা হয়। ডগস্কোয়াডও থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গির্জা পার্শ্ববর্তী এলাকায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দারাও থাকবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত