সিঁদুর খেলা, ঢাক ও কাঁসরের বাদ্যে বিদায়ের সুর

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (খায়রুল) : সিঁদুর খেলা, ঢাক-কাঁসরের বাদ্য-বাজনা, রাত্রি উজ্জ্বল করা আরতি ও ভক্তদের পূজা-অর্চনায় আজকে বাজবে বিদায়ের সুর। আজ বুধবার শুভ বিজয়া দশমী। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হবে । মর্ত্যলোক ছেড়ে বিদায় নেবেন দেবী দুর্গা। অশ্রুসজল চোখে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বিসর্জন দেবেন প্রতিমা। এর মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের সার্বজনীন মিলনমেলা ভাঙবে।

আজ সকাল মা দর্পনবির্সজন করা হয়েছে ৮টা ৫৭ মিনিটে আর দর্পণ বিসর্জন দেওয়া পর বিকেলে থেকে প্রতিমা বির্সজনের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু হবে আর রাত ৮ টার মধ্যই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। এরপর সারাদেশে স্থানীয় আয়োজন ও সুবিধামতো সময়ে বিজয়ার শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। বিসর্জনের উদ্দেশ্যে নারায়নগঞ্জ থেকে বিজয়া শোভাযাত্রা বেরোবে। সর্বত্র বিসর্জন শেষে ভক্তরা শান্তিজল গ্রহণ করবেন। একই সাথে শীতলক্ষ্যা নদীতে প্রায় ২৫টা পূজামণ্ডপ গুলো বির্সজনের উদ্দেশ্য বের হবেন। সেখান থেকে সম্মিলিত বাদ্যি-বাজনা, মন্ত্রোচ্চারণ ও পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিজয়ার শোভাযাত্রা। শীতলক্ষ্যা ৫নং ঘাটে নদীর জলে একে একে বিসর্জন দেওয়া হবে প্রতিমা।

গতকাল ছিল মহানবমী। মা দেবী দুর্গাকে বিদায়ের আয়োজনে বিষণ্ণ মন নিয়েই উৎসবে মেতেছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। সন্ধ্যা ও রাতকে উজ্জ্বল করে ভক্তরা মেতে উঠেছিলেন নানা ঢঙে, আরতি নিবেদনে। তবে হঠাৎ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে আয়োজনে ঘটে ছন্দপতন। দুপুর ২টা ৪ মিনিটে জাতীয় সঞ্চালন লাইনে ত্রুটির কারণে নারায়ণগঞ্জের সহ পুরো বাংলাদেশের অর্ধেক জেলা গুলোতে বিদ্যুৎ চলে যায়। তবে তাতে পূজা উদযাপনে ছেদ পড়েনি বলে জানিয়েছেন নারায়নগঞ্জ গোপাল জিও বিগ্রহ মন্দির চাষাড়া সভাপতি মদন মোহন দাস ।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। জেনারেটরের মাধ্যমে মণ্ডপগুলোতে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দিরে সন্ধ্যায় আরতি প্রতিযোগিতার সময় জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল ছিল, কিন্তু সিসি ক্যামেরা গুলো অচল ছিলো বলে জানিয়েছেন তিনি।.2

মহানবমীর দিনও আগের দিনের মতো রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছিল। হাজার হাজার ভক্ত, পূজারি ও দর্শনার্থী মণ্ডপগুলোতে ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দর্শন করেছেন। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোথাও কোথাও মণ্ডপসংলগ্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় বিকেল থেকেই। এ কারণে নগরীর বিভিন্ন স্থানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিদ্যুৎহীন রাতে যানজট অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছে যাওয়ায় পূজারিদের পড়তে হয় ভোগান্তির মধ্যে।

add-content

আরও খবর

পঠিত