সহিংসতা প্রতিরোধে মহিলা পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে এগিয়ে আসুন, সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ করি- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা লিগ্যাল এইড উপ পরিষদ এর উদ্যােগে আন্তর্জাতিক নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫ নভেম্বর – ১০ ডিসেম্বর) ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০২৩ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় ১৮ নং নবাব সলিমুল্লাহ রোড চাষাঢ়াস্থ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা’র  সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসিনা পারভীন। তিনি জেলা ও সারা দেশের নারী ও কন্যা নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও জেলার সাবেক সভাপতি আন্‌জুমান আরা আসির, কেন্দ্রীয় কমিটি প্রশিক্ষণ, গবেষনা ও পাঠাগার সম্পাদক ও জেলা কমিটি সহ-সভাপতি রীনা আহমেদ। সম্মেলন পরিচালনা করেন, লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানারা বেগম।

সভায় বক্তরা বলেন- দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংকট ও মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। এর ফলে পারিবারিক কলহ-অশান্তি এবং নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে। এর শিকার হচ্ছে নারীরা। শুধু ঘরেই না, বাইরেও নারী-কন্যা শিশুরা হত্যা, ধর্ষন, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এজন্য সকল সম্প্রদায়ের অভিন্ন পারিপারিক আইন চালু করতে হবে, সিডও সনদের পূর্ন অনুমোদনও বাস্তবায়ন, নারী ও শিশু নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া বন্ধ, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, সকল ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য তথ্য প্রযুক্তির সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের সর্বক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সম-অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, সম্পদ-সম্পত্তিতে নারী- পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে, নারী ও কন্যা নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রনয়ণ ও দ্রুত বিচার করতে হবে, নারী ও কন্যার প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা দূরীকরণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের সহিংসতা হয়, সহিংসতা প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নারী বান্ধব প্রযুক্তির বিকাশে সরকারী প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে তরুণ সমাজকে জেন্ডার সংবেদনশীল করার লক্ষ্যে পাঠ্যসুচীতে সাইবার বুলিং ও ক্রাইম সম্পর্কে শিক্ষা যুক্ত করতে হবে। নারীদের প্রযুক্তির সাথে ব্যাপকভাবে পরিচিত করাতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের স্বাবলম্বী হবার সুযোগ দিতে হবে।

এসময় গৃহবধূ ডলি ও বাক-প্রতিবন্ধী সন্তান রাফি উপস্থিত হয়ে তাদের করুন কাহিনী তুলে ধরেন। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলার সহ-সভাপতি কৃষ্ণা ঘোষ, সংগঠন সম্পাদক প্রীতিকনা দাস, সিনিয়র সদস্য কমলা দে, আন্দোলন সম্পাদক শোভা সাহা, প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ সুজাতা আফরোজ, সদস্য রাশিদা বেগম।

add-content

আরও খবর

পঠিত