মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ১৩ দফায় তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ১৯ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেছেন। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৪০ জন স্বাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩ দফায় ২৫ জনের পূর্ণ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আরেকজনের আংশিক সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, আল্লামা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আজ আমরা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে জেরা করেছি। আগামী তারিখে আবারও তাকে জেরা করা হবে। তিনি আমাদের জেরায় অনেক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। তাকে আমরা জিজ্ঞাসা করেছিলাম আপনি কি বাদীনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। তিনি বললেন জিজ্ঞাসাবাদ করিনি।

তিনি আরও বলেন, এত একটা আলোচিত মামলায় বাদিনীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন নাই তাহলে বুঝা যায় এটা একটা বানানো মামলা। বাদীনিকে কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেটাও তিনি জানেন না। বাদীনির ছেলে আব্দুর রহমান বলে গিয়েছিলেন ফাস্ট ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে আটক রেখেছিলো। তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেছেন ফাস্ট ইন্টারন্যাশনাল হোটেল তিনি চিনেন না। এতে প্রমাণিত হয় এটা একটা ভূয়া মামলা মিথ্যা মামলা। তিনি কারও কাছ থেকে তদন্ত করে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে পারে নাই। এটা একটা গোঁজামিলের তদন্ত।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা করেছে আসামী পক্ষের আইনজীবী। আসামী পক্ষের আইনজীবীরা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দুইদিন জেরা করেছে। আরও একদিন জেরা করার জন্য সময় চেয়েছে। আসামী পক্ষের আইনজীবীরা ইচ্ছা করেই সময়ক্ষেপন করেছে। এ পর্যন্ত যারা সাক্ষী দিয়েছেন সকলেই বাদীনির পক্ষে সাক্ষী দিয়েছে। আসামী বাদীনিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষী শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

add-content

আরও খবর

পঠিত