নাগিনা জোহার মত গুনী নারী উপমহাদেশে পাওয়া বিরল-আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এমপি খোকা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা অডিটরিয়মে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে । ৮ মার্চ মঙ্গলবার বিকালে সোনারগাঁ অডিটরিয়মে পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের পর অতিথিদের আসন গ্রহনের পর বক্তব্যের পালার পূর্বে প্রয়াত ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহা প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি সহধর্মীনি ডালিয়া লিয়াকত । এছাড়াও সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সামসুল ইসলাম ভূইঁয়া, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনূর ইসলাম রুমা, এড: নূরজাহান বেগম, কাউন্সিলার জাহেদা আক্তার মনি, মাহমুদা ইসলাম ফেন্সি, কাউন্সিলার রুনা আক্তার, জাহানারা বেগম, আরোও উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে এমপি খোকা বলেন, আমি প্রথমে শ্রদ্ধা জানাই দেশের নেতা ও বাঙ্গালির পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে । নারী দিবস শুধু আমাদের দেশে পালিত হচ্ছে তা না এ দিবসটি আন্তর্জাতিক ভাবে সম্মান ও শ্রদ্ধার সাথে  পালন করছে। নারী দিবস আন্তর্জাতিক ভাবে সারা বিশ্বে সকলে পালন করছে। নারীরা যে এগিয়ে গেছে যাচ্ছে এতে কেউ দ্বিমত করার কোন সুযোগ নেই । সারা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের নারীরাও এখন অনেক এগিয়ে গেছে ।

তিনি আরো বলেন,  আমরা গত ২ দিন আগে এমন একজন গুনী নারী কে হারিয়েছি তার মতো একজন গুনী নারী এই উপমহাদেশে পাওয়া বিরল। যিনি হচ্ছেন আমাদের শ্রদ্ধেয় মা নাগিনা জোহা। তার পত্রিক জীবন থেকে শুরু করে সন্তান পর্যন্ত এদেশের উন্নয়নের মূল্যবান দায়িত্বে কাজ করে যাচ্ছেন। নাগিনা জোহা ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেম নগরে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারে গ্রামটির নামকরণ করা হয়। বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজ হিতৈষী ও কাশেম নগরের জমিদার। তিনি শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠ পোষকতায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলীম লীগের সেক্রেটারি ও এমএলএ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লা রাজ্য সভার স্পিকার ছিলেন। ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের সন্তান রাজনীতিবিদ এ কে এম শামছুজ্জোহার সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন। স্বামীর বাড়িতে নতুন বউ হিসেবে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর শ্বশুর তৎকালীন এমএলএ খান সাহেব ওসমান আলীর চাষাঢ়ার বাড়ি বায়তুল আমান ছিল আন্দোলন সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু। ওনার তিন সন্তানই সংসদ সদস্য যাদের একজন হলো প্রয়াত জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নাসিম ওসমান। বর্তমানে দুই সন্তান সংসদ সদস্য থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীকে উন্নয়নমূলক কাজ করে দেশকে সুন্দর ভাবে গড়ে তুলছে।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত