খাঁনপুর ও ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল থাকবে পুলিশ সুপারের পর্যবেক্ষনে

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( প্রেস বিজ্ঞপ্তি ) : খাঁনপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মত শহরের ১০০ শয্যা হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। আর হাসপাতাল দুটির সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে জেলা পুলিশ সুপার ও নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা থেকে পর্যবেক্ষন করা হবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিকেএমইএ ও নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ করেছেন জেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। ১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির ৫ম মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

এছাড়াও খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিকেল বর্জ্য ও শহরে অবস্থিত ক্লিনিক গুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য হাসপাতালের অভ্যন্তরে বন্ধ হয়ে যাওয়া মেডিকেল বর্জ্য ধ্বংসের স্থাপনাটি সংস্কার করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

সরকার হাসপাতালটিকে ৩০০ শয্যা হিসেবে অনুমোদন দিলেও হাসপাতালটিতে ২০০ শয্যা থেকে কম জনবল ও আসন ঘাটতি থাকার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে দ্রুত হাসপাতালের ২০০ শয্যার শূন্য পদে জনবল নিয়োগ করে ভবনের উর্ধমূখী সম্প্রসারন করে পূর্ণাঙ্গ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে রূপান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাবনা সহ অনুমোদন চেয়ে আবেদন করতে বলা হয়। ঐ আবেদনে হাসপাতালটিতে বার্ণ ইউনিট, হার্ট ও কিডনি বিভাগ স্থাপন সহ প্রসূতি বিভাগে আরো উন্নত সেবা প্রদানের ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে পূর্ণাঙ্গ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের জন্য ভবনের উর্ধমূখী সম্প্রসারনের নকশা সম্পন্ন করা হয়েছে।

পাশাপাশি ভবিষ্যতে হাসপাতালটিকে মেডিকেল কলেজে রূপান্তর ও নারায়ণগঞ্জের মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবার কথা মাথায় রেখে হাসপাতালের উত্তর পাশে সি ব্লকের ভবনটি ভেঙ্গে বহুতল ভবন নির্মাণ সহ মেডিকেল কলেজের অনুমোদন চেয়ে প্রস্তাবনা সহ প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

সভায় সেলিম ওসমান হাসপাতালের সৌন্দর্য্য বর্ধন ও চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দাড় গোড়ায় পৌছে দিতে কোন ব্যাংক কিবাং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতায় বর্হিবিভাগের সম্মুখে একটি মনোরম ঝর্না অথবা ফোয়ার সহ একটি বাগান নির্মাণ এবং জরুরি বিভাগ ও বর্হিবিভাগের মত একটি কল সেন্টার বিভাগ চালু করার কথা বলেন। যেখানে হাসপাতালের চিকিৎসকরা মোবাইল সহ, ভাইবার, ইমো, ফেসটাইম, স্কাইপি ব্যবহার করে রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করতে পারেন।

এছাড়াও জেলা প্রশাসকের পরামর্শ অনুযায়ী খানপুর হাসপাতালে সকালে এবং বিকালে হাটতে আসা মানুষদের সম্পূর্ন ফ্রিতে ওজন মাপা, রক্তচাপ (প্রেসার) মাপা, এবং ডায়াবেটিকস পরীক্ষা সেবা চালু করার কথা বলেন।

পরিশেষে সেলিম ওসমান সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিছুই করি না। এখানে বসে সভা করলাম পত্রিকায় ছবি ছাপা হলো, এখান থেকে বেরিয়ে সব কিছু ভুলে গেলাম এমনটা যেন না হয়।
সভায় জেলা পুলিশ সুপার মঈন বলেন, জনগনের উপকার হয় জনগন উপকৃত হয় এমন যে কোন ধরনের কাজে সব সময় জেলা পুলিশ সহযোগীতা করবে।

জেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মিঞা, জেলা পুলিশ সুপার মঈন, খানপুর হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডাক্তার নিতিশ কান্তি দেবনাথ, বিকেএমইএ এর সহ সভাপতি (অর্থ) জিএম ফারুক, অ্যাডভোকেট মাসুদুর রউফ প্রমুখ।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত