নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজাকার পুত্র মাকসুদের লম্পট ভাগ্নে শরিফুল ইসলাম ওরফে গুড্ডু ও তার সহযোগীরা এক গৃহবধূকে অপহরণের পর ৫ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ১৪ই জুন সোমবার রাতে বন্দর থানা পুলিশ কুড়িপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গণধর্ষণ মামলার ১নং এজাহারভুক্ত আসামী লম্পট শরীফুল ইসলাম গুড্ডু (৪০) কে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত শরিফুল ইসলাম গুড্ডু বন্দর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকার আলতাফ ওরফে আলতু মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত ধর্ষক গুড্ডুসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২০(৬)২১।
মামলার অপর আসামীরা হলো, বন্দরের কুড়িপাড়া নয়ামাটি এলাকার রুহুল আমিনের ভাড়াটিয়া ও মৃত তোতা মিয়ার ছেলে সোহরাব ওরফে পাগলা শুভ (৩৭) এবং একই এলাকার ছালাম মাস্টারের ছেলে ফিরোজ মিয়া (৩৬)।
গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী লম্পট গুড্ডু গ্রেফতারের সংবাদ পেয়ে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ ধর্ষককে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য রাতভর থানায় ব্যার্থ তদবির চালানোর খবর পাওয়া গেছে।
ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ জানান, তিনি গত ২৫ই মে সন্ধ্যা পোনে ৭ টার দিকে বন্দরের মদনপুর এলাকার বারাকা হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। হাসপাতালের গেইটের সামনে যাওয়ার পর একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস তার সামনে এসে দাঁড়ায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই গুড্ডুসহ ৩ জন তাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে অপহরণ করে ঢাকার দিকে নিয়ে যায়। এরপর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে দোতলা বাড়ির একটি কক্ষে ৫ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে অজ্ঞাতনামা এক কাজের বুয়ার মাধ্যমে তিনি ছাড়া পেয়ে ৩০ই মে বাড়ি ফিরে এসে স্বামীকে ঘটনাটি জানান।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে সোমবার রাতে ৩ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন। মামলার এক নম্বর আসামী শরীফুল ইসলাম গুড্ডুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।