নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( আদালত পাড়া ) : নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজারে আলোচিত আওয়ামী লীগের ৪ খুন মামলার ঘটনায় দীর্ঘ ১৫ বছর পর ২৩ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ১৭ই মে দুপুরে নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কামরুন নাহারের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমীন আহমেদ। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী বারী ভুইয়া ও খোরশেদ আলম মোল্লা।
এ রায় ঘোষণাকালে কারাবন্দি ১৯ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাকি চার আসামি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- আল-আমিন, রুহুল আমিন, তাজুল ইসলাম ও হারুন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবুল বাশার কাশু, ডালিম, ইয়াকুব আলী, রফিক, হালিম, রুহেল, শাহাবুদ্দিন, লিয়াকত আলী মাস্টার, সিরাজ উদ্দিন, ইদ্রিস আলী, মোহাম্মদ হোসেন, আবু কালাম, আহাদ আলী, ইউনুছ আলী, জহির উদ্দিন, ফারুক হোসেন, গোলাম আযম, আব্দুল হাই, খোকন, আল-আমিন, রুহুল আমিন, তাজুল ইসলাম ও হারুন।
এর আগে গত ৪ মে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধা পর্যন্ত রাষ্ট্রপক্ষ ও সকল আসামীদের পক্ষ থেকে আইনজীবীদের যুক্তিকর্ত ও সাক্ষীদের জেরা শেষে আদালত ১৯ জন আসামীকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দিয়ে আজ রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ১২ মার্চ আড়াইহাজার থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই বারেক, ফুফাতো ভাই বাদল, আওয়ামী লীগের কর্মী ফারুক ও কবীরকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় । এঘটনায় ২৩জনকে পুলিশ অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। বাদী পক্ষের থেকে আসামীদের সবোর্চ্চ শাস্তি দাবী করেন। ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সকল আসামীদের ফাসিঁ দাবী করেন। মামলার বাদী ছিলেন নিহত বারেকের বাবা সাবেক ইউপি সদস্য আজগর আলী। মামলা চলাকালীন সময়ে তিনি মারা যান। এর পর আজগর আলী ছেলে সফিকুলকে মামলার বাদী করা হয়। দীর্ঘ ১৫ বছর পর চাঞ্জল্যকর এই মামলার রায় শুনার জন্য অপেক্ষায় ছিলো আড়াইহাজারের লাখো মানুষ ।