নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দরে ৪র্থ শ্রেণীর মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে (১৩) ধর্ষণের ঘটনায় মুদী দোকানী রহমত ওরফে রকমতকে (৫৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত রহমত ওরফে রকমত বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ২নং মাধবপাশা এলাকার মৃত আবেদ আলী মিয়ার ছেলে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার ২নং মাধবপাশা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর বিকেলে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ২নং মাধবপাশাস্থ ধৃতের বসত ঘরে এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়েরের করেন। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরিক্ষার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ২নং মাধবপাশা এলাকার মৃত আবেদ আলী প্রধানের ছেলে রহমত ওরফে রকমত মিয়া দীর্ঘদিন ধরে আলহাজ্ব খোরশেদুন্নেছা স্কুলের সামনে একটি মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। বাদিনীর মেয়ে উল্লেখিত এলাকার একটি মাদ্রাসায় ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ালেখা করে আসছে। বাদিনীর মেয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে তার দোকানে আসলে ওই সময় মুদীদোকানী রহমত ওরফে রকমত মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে মুদীদোকানী বিভিন্ন সময়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার বাসায় নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এর ধারাবাহিকতা গত ৫ ডিসেম্বর বিকেল সোয়া ৩টায় মুদি দোকানী রহমত ওরফে রকমত আবারও প্রলোভন দেখিয়ে তার বসত ঘরে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভুগি মাদ্রাসা ছাত্রী বিষয়টি তার মা ও বাবাকে জানালে এ ঘটনায় মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরিক্ষা পর ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
