মাদককারবারী ছাড়‌তে চায় ফতুল্লার মহসিন

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তি ) : যখন মাদক বিক্রি করছি তখন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হইছি, মামলা হইছে, জেল খাটছি, মানুষ মন্দ বলছে, সেটা কৃতকর্মের ফল হিসেবে মাইন্না নিছি। কিন্তু যখন ঘৃণ্য মাদকের কারবার ছাইড়া, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইয়া, আমার দুইটা ছোট্ট মাসুম বাইচ্চার সুন্দর ভাবিষ্যতের কথা চিন্তা কইরা ভালা হইতে চাইলাম, তখন এইভাবে অহেতুক একের পর এক মামলার শিকার হইতাছি? তবে কি আমার ভালা হইতে চাওয়াডা অপরাধ? এমন আশ্ফালন একসময়ের একজন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা মহসিন ব্যাপারীর।

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন দাপা-ইদ্রাকপুর জোড়পুল এলাকার মোশারফ ওরফে মোশা ব্যাপারীর ছেলে এই মহসিন ব্যাপারী।

বিগত ৩/৪ বছর মহসিন তার তিন সহযোগী তথা
একই এলাকার বাদশা দালালের ছেলে শাকিল (৩০), মুজিবুর রহমানের ছেলে ভাতিজা আলামিন (৩৫) এবং দুখু মিয়ার ছেলে ভাগীনা রাজিব (৩৮) কে নিয়ে বীরদর্পে চালিয়ে যায় তার অবৈধ মাদকের কারবার। আর এই কারবারের নেতৃত্ব দিত সে। কয়েকবার গ্রেফতার হয়ে জেলও খেটেছে মহসিন। আর এভাবে এলাকায় মাদক কারবারী হিসেবে চিহ্নিত হয় এবং এলাকার মানুষের কাছে ঘৃণার পাত্র হয়ে যায়। একটা সময় নিজের দুটো কন্যা সন্তানের কথা ভাবে মহসিন। ওদের ভবিষ্যৎ ভাল পাত্রস্ত করা সামাজিক বিষয়ে ভাবতে থাকে মহসিন। তাছাড়া দেশ সংস্কারে আরও কত কি বিপদ হতে এই অবৈধ মাদকের কারবার করতে গিয়ে। ফলে এই ঘৃণ্য জীবনের প্রতি তার অনেক অনীহা চলে আসে এবং গত ৬ মাস আগে
নিজেকে বদলে সাধারণ জীবন যাপনের সিদ্ধান্ত নেয় মহসিন। কিন্তু তার মাদক কারবারি পার্টনার শাকিল আলামিন রাজিব এ অবৈধ মাদক বিক্রি বন্ধ করতে নারাজ। তাছাড়া ব্যাবসার সকল গোপন তথ্য কৌশল সব মহসিন জানে এবং ও ভাল হয়ে গেলে ওদের ব্যবসার ক্ষতি করতে৷ পারে এহেন ধারণায় শুরু করে গোপন ষড়যন্ত্র।

মহসিন জানায়, ঐ পার্টনারদের সাথে ছিল মহসিনের অটো গ্যারেজের ব্যবসা। যার আড়ালে করতে ঐ মাদকের কারবার। সেই ব্যবসায় মহসিন শাকিল আলামিন রাজিব সবার ইনভেস্ট আছে। সেখান থেকে তার ইনভেস্ট করা ৬ লাখ টাকা ফেরত চাইতে পার্টনারদের সাথে আরও বেশি দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যায় বলে জানায় মহসিন।

অতঃপর এসবের জের ধরে ভীন্ন ভীন্ন পন্থায় ফতুল্লা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গত ৬ মাসে তিন বারে তিনটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় তিনবার জেলে পাঠায় ওরা। এর আগে গ্যারেজে খাঁটানো পুঁজি ফেরত চাইতে গেলে ওরা সবাই মিলে পিটিয়ে আহত করে মহসিনকে। এসব ঘটনার পর অসহায় হয়ে পড়ে মহসিন। গত কয়েকদিন আগে জেল থেকে জামিনে বেড়িয়ে তাই গনমাধ্যমের স্মরণাপন্ন হয় মহসিন। এই প্রতিবেদকের কাছে মহসিন হাতজোড় মিনতি করে জানায়, আমি এই মাদকের ঘৃণ্য ব্যবসা বাদ দিয়ে সন্তান দুটোসহ পরিবার নিয়ে ভাল ভাবে বাঁচতে চাই। তার প্রশ্ন এই সমাজ কি আমার এই ভালভাবে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টায় পাশে থাকবেনা?

add-content

আরও খবর

পঠিত