প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিয়ে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : আয়াত এডুকেশনের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে (নাসিক) বিশ্ব হারপিস ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) নাসিক সম্মেলন কক্ষে মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের আওতায় দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তারা বয়স্ক ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’ জরুরি মন্তব্য করে এজন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।

আয়াত এডুকেশনের পরিচালক লায়লা করিমের সভাপতিত্বে ও সমন্বয়ক সুমিত বণিকের সঞ্চালনায় এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসিকের প্রশাসক এ এইচ এম কামরুজ্জামান।

আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান, নাসিকের সচিব নূর কুতুবুল আলম, আয়াত এডুকেশনের ডা. লায়লা করিম, নাসিকের মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম, বারডেম জেনারেল হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের ম্যানেজার শফিকুল জামানা সৈকত প্রমুখ।

আয়াত এডুকেশনের কর্মকর্তারা জানান, তিন বছর মেয়াদী ‘মমতাময় নারায়ণগঞ্জ’ পাইলট প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে সংযুক্তিকরণ। নিরাময় অযোগ্য, জীবন সীমিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের জীবনের প্রান্তিক সময়টুকু ভোগান্তি-যন্ত্রণাবিহীন এবং নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে চিকিৎসা ব্যবস্থায় আবদ্ধ না রেখে একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। কারণ মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে সমন্বিত না করতে পারলে জীবন সীমিত রোগে আক্রান্ত মানুষদের রোগমুক্তি সম্ভব নয়, যার মাধ্যমে রোগীর ভোগান্তি কমানোর সঙ্গে সঙ্গে রোগীর পরিবারের যত্নেরও উন্নতি করা সম্ভব। সেই সাথে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি-বেসরকারি আরও উদ্যোগ জরুরি।

নাসিক প্রশাসক কামরুজ্জামান বলেন, আমার মেঝো ভাই ক্যান্সার আক্তান্ত রোগী ছিলেন। চিকিৎসকরা জানান, তাকে আর কেমোথেরাপি দেয়া যাবে না। দেশে ফিরে তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিভাগে ভর্তি রাখা হয়েছিল। অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। তাই ভেবেছিলাম, আমার কখনো স্বাস্থ্য বিভাগে কাজ করার সুযোগ হলে, প্রথম লক্ষ্য থাকবে এই বিভাগটিকে উন্নত করা। এ প্রকল্পকে স্থায়ী করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। শুধু প্রকল্প পরিচালনা নয়, এর সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।

এ সময় তিনি প্যালিয়েটিভ কেয়ার গিভার হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে মমতাময় নারায়ণগঞ্জ প্রকল্পের পক্ষ থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে সম্মাননা স্মারক একং প্রকল্পের ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে সনদপত্র প্রদান করা হয়।

add-content

আরও খবর

পঠিত